কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২৫, ০৮:০৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ঋণ পরিশোধে কৃষকদের আগ্রহ ও সক্ষমতা বাড়ছে

ঋণ বিতরণ ১৭২ কোটি টাকা বেড়েছে
ঋণ পরিশোধে কৃষকদের আগ্রহ ও সক্ষমতা বাড়ছে

দেশের কৃষকদের ঋণ পরিশোধের আগ্রহ ও সক্ষমতা বাড়ছে। যদিও বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষিঋণ বিতরণের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ হয়েছে ৩৭ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা, যা ৩৮ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ৯৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। যদিও আগের অর্থবছরের তুলনায় পরিমাণগতভাবে ঋণ বিতরণ ১৭২ কোটি টাকা বেড়েছে, তার পরও লক্ষ্যমাত্রার ঘাটতি পূরণ হয়নি। অন্যদিকে, কৃষিঋণ আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা, যা এ খাতে কৃষকদের ঋণ পরিশোধের আগ্রহ ও সক্ষমতারই প্রমাণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চারটি বড় কারণ কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলো হলো—২০২৪ সালের আগস্টে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়া, একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সুদের হার বৃদ্ধি এবং ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট। এসব কারণে অনেক ব্যাংক ঋণ বিতরণে নিরুৎসাহিত ছিল এবং কৃষকরাও ঋণ গ্রহণে কিছুটা অনিশ্চয়তায় ছিলেন, তা ছাড়া মাঠপর্যায়ে ঋণ বিতরণে যথাযথ তদারকি না থাকায় অনেক প্রকৃত কৃষক ঋণপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

কৃষিঋণ বিতরণে ব্যর্থ হওয়া ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। যেসব ব্যাংক নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি, তাদের অনর্জিত অংশ কেটে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কমন ফান্ড (বিবিএডিসিএফ)’ তহবিলে জমা করা হবে। এ তহবিলের অর্থ পরবর্তী সময়ে সফল ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এতে ভবিষ্যতে ব্যাংকগুলো আরও দায়িত্বশীল হয়ে উঠবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এদিকে, আগামী ১২ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন অর্থবছরের জন্য কৃষিঋণ বিতরণের নীতিমালা ঘোষণা করবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এবারের লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে প্রায় ৩৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যদিও প্রতি বছর লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে কৃষকের হাতে সেই অর্থ কতটা পৌঁছায়, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। অনেক সময় ব্যাংকগুলো কৃষিঋণের নামে অন্য খাতে ঋণ বিতরণ করে থাকে। আবার জটিল কাগজপত্র, দীর্ঘসূত্রতা এবং দালাল চক্রের কারণে কৃষকের পক্ষে সরাসরি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে।

বিশেষ করে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর নিজস্ব গ্রামীণ নেটওয়ার্ক না থাকায় তারা এনজিওদের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করে, যেখান থেকে কৃষকরা উচ্চ সুদের চাপে পড়েন। ফলে সরকারি সহায়তার সুফল তারা পুরোপুরি পান না। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই কৃষিঋণ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাতে চলে যায়, যারা কৃষকের নাম ব্যবহার করে সুবিধা নেন। এতে প্রকৃত কৃষকের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এবং কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেষ হলো জলবায়ু সম্মেলন, ফলাফল কী?

শেখ হাসিনার রায় ঘিরে ছড়িয়ে পড়া ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের ছবি সরানোর নির্দেশ 

সাত পদের ৫টিতে বিএনপির জয়

ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ বন্ধ

গুমের মামলায় শেখ হাসিনার আইনজীবী জেড আই খান পান্না

বাংলাভিশনকে হারিয়ে সেমিফাইনালে কালবেলা

রূপলাল হত্যার আসামি গ্রেপ্তার

আজ থেকে বন্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকে সরাসরি গ্রাহকসেবা 

বিপিএলে বাড়তে পারে আরও এক দল, আলোচনায় নতুন নাম

‘১৭ বছর পর ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে এসেছে’

১০

নিজের চেহারা নিয়ে যা বললেন ধানুশ

১১

একসঙ্গে জন্ম নেওয়া পাঁচ শিশুকে গাভি উপহার

১২

এক পদের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২ পদে শিক্ষক নিয়োগ

১৩

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১৪

দেবের সঙ্গে রোম্যান্সে নজর কেড়েছেন জ্যোতির্ময়ী

১৫

আটটির মধ্যে পাঁচটি যুদ্ধ থামিয়েছি : ট্রাম্প

১৬

বরিশালের এক নেত্রীকে সুসংবাদ দিল বিএনপি

১৭

ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা, গণপিটুনিতে নিহত ১

১৮

প্রসূতির মৃত্যু, পালিয়ে গেলেন চিকিৎসক-নার্স

১৯

টাইপকাস্ট হতে চান না তৃপ্তি

২০
X