

যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলে সন্দেহভাজন আরেকটি মাদকবাহী নৌযানে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ওই নৌযানে থাকা তিনজন নিহত হয়েছেন বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। রোববার সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ড বলেছে, ‘ওই নৌযানটি অবৈধ মাদক চোরাচালান, মাদক চোরাচালানের একটি পরিচিত পথ ধরে চলাচল এবং মাদক বহন করছিল, গোয়েন্দারা এটি নিশ্চিত করেছেন।’
এই ঘোষণায় বলা হয়েছে, জয়েন্ট টাস্কফোর্সের সাউদার্ন স্পিয়ার নৌযানটিতে যখন আঘাত হানে তখন এটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিল।
রয়টার্স জানায়, জানামতে এটি সেপ্টেম্বরের প্রথমদিক থেকে শুরু হওয়ার পর থেকে কথিত মাদকবাহী নৌযানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ২১তম হামলা। যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহকে বাধা দিতে এ প্রক্রিয়াকে একটি ন্যায্য প্রচেষ্টা বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রশাসন। পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী, এসব হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছেন।
মার্কিন কংগ্রেসের আইনপ্রণেতারা, মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো এসব হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দাবি করেছে, এসব হামলা চালানোর আইনি কর্তৃত্ব তাদের আছে আর এর ন্যায্যতা প্রমাণ করে এমন একটি আইনি মতামত মার্কিন বিচার বিভাগ দিয়েছে। এসব অভিযানে অংশ নেওয়া মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বিচার থেকে দায়মুক্তি পাবে। রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কার্টেল দে লোস সোলেস নামের কথিত মাদক সংগঠনকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকভুক্ত করেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকদ্রব্য পাঠাতে অপরাধী সংগঠন ট্রেন দে আরাগুয়ার সঙ্গে কাজ করে কার্টেল দে লোস সোলেস।
ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো কার্টেল দে লোস সোলেসকে নেতৃত্ব দেন। মাদুরো এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মন্তব্য করুন