ইউক্রেনের সেনারা দেশটির খেরসন অঞ্চলের বন্দর শহর হেনিচেস্কে রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রভান্ডার ধ্বংস করে দিয়েছে। গতকাল রোববার হামলা চালিয়ে এ অস্ত্রভান্ডার ধ্বংস করা হয় বলে দাবি করেছে কিয়েভ। এ ঘটনায় রাশিয়ার মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে এবং কূটনৈতিক উপায়ে অবশ্যই দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ হিসেবে তিনিসহ আফ্রিকার সাত দেশের নেতারা মস্কো সফরে থাকা অবস্থায় শনিবার পুতিনকে এ কথা বলেন রামাফোসা। খবর আলজাজিজার।
ইউক্রেনের ওডেসা সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহি ব্রাচুক বলেছেন, ‘আমাদের সেনারা রোববার রুশ অধিকৃত খেরসনের বন্দর শহর হেনিচেস্কে হামলা চালায়। এতে তারা সফলভাবে “খুবই গুরুত্বপূর্ণ” একটি অস্ত্রভান্ডার ধ্বংস করে দেয়। হেনিচেস্কের রায়কোভে থাকা এ রুশ অস্ত্রভান্ডারটি হামলায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে।’ এ বিষয়ে অবশ্য রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, দূর-দিগন্ত থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এ ছাড়া বিস্ফোরণের শব্দ এবং আগুনে পোড়া বিভিন্ন বস্তু এদিক-সেদিক ছিটকে যাচ্ছে। যেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেটি আজভ সাগরের একটি বন্দরনগরী। গত বছর ইউক্রেনে হামলা করার পরপরই এ শহরটি দখল করে নেয় রুশ বাহিনী। এরপর থেকে শহরটি তাদেরই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান রামাফোসার : দক্ষিণ অফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাসহ আফ্রিকার সাত দেশের প্রতিনিধিরা ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে তারা দুই দেশ সফর করছেন। প্রথমে ইউক্রেনে গিয়ে তারা দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর চলে যান রাশিয়ায়। সেখানে তারা প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে শনিবার বৈঠক করেন। বৈঠকে রামাফোসা পুতিনকে বলেন, এ যুদ্ধ অবশ্যই দ্রুত বন্ধ করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে এবং কূটনৈতিক উপায়ে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আফ্রিকার সাত নেতার সমন্বয়ে তার প্রতিনিধিদল খুব স্পষ্ট বার্তা নিয়ে এসেছে। আর সেটা হলো, এ যুদ্ধ শেষ করতে হবে। রামাফোসা আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আগে পুতিনকে আরও বলেন, আফ্রিকা মহাদেশ এবং বিশ্বের অনেক দেশেই এ যুদ্ধ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রধান ও পূর্ব আফ্রিকার দেশ কমোরোসের প্রেসিডেন্ট আজালি আসৌমানি পুতিনকে বলেন, ‘আমরা আপনার কথা শুনতে এসেছি। আপনার মাধ্যমে রাশিয়ার জনগণের কথা শুনতে এসেছি।’
মন্তব্য করুন