মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, লক্ষ্মীপুর
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ এএম
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬৫৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ব্যাহত পাঠদান
লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬৫৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

বন্যায় লক্ষ্মীপুর জেলায় ৬৫৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৬২টি, মাধ্যমিক-স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও কলেজের ৮৪টি এবং প্রাথমিকের ৫১৩টি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফোনে না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কত, তা জানা যায়নি।

এ ছাড়া গত ২ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী বাজার এলাকার তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার জমিসহ তিনটি সেমিপাকা শ্রেণিকক্ষ, অফিসকক্ষ ও শৌচাগার ভেঙে রহমতখালী খালে তলিয়ে যায়। এ সময় নারিকেলসহ বিভিন্ন জাতের ২০টি গাছও তলিয়ে গেছে। মাদ্রাসায় শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টি ভেঙে খালে তলিয়ে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

চাঁদখালী তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা মোসাদ্দেকুল হক বলেন, জমিসহ আমাদের প্রতিষ্ঠান খালের স্রোতে তলিয়ে গেছে। এতে আমাদের ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। পাঠদান কর্মসূচি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল বলেন, লক্ষ্মীপুরে ১৮৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৮৬টি আশ্রয়ণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। মাদ্রাসা ও কলেজ আমাদের অধীনে নয়। এজন্য কতটি মাদ্রাসা ও কতটি কলেজ আশ্রয়ণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে, তা জানা নেই।

তিনি আরও বলেন, লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৪৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বন্যায় ৬২টি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় ২১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে বন্যায় ৮৪টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তাদের ক্ষতির চাহিদা প্রেরণ করেছে। তবে আমরা তা এখনো নির্ণয় করতে পারিনি।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল লতিফ মজুমদার বলেন, আমাদের ৭৩২টি বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২০৪টি আশ্রয়ণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। বন্যায় ৫১৩টি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। যেসব বিদ্যালয়ে আশ্রয়ণকেন্দ্র রয়েছে, তার মধ্যে সবটিতে পানি ওঠেনি। আবার যেগুলো আশ্রয়ণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়নি, সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন অধিকাংশ বিদ্যালয়ই বন্ধ। এর মধ্যে কোনোটি পানির কারণে, কোনটি আশ্রয়ণকেন্দ্রের কারণে বন্ধ রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজীপুরে প্রবাসী বিএনপি নেতা পারভেজের প্রার্থিতা ঘোষণা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইমাম প্রশিক্ষণ দেবে তুরস্কের দিয়ানাত ফাউন্ডেশন

স্বপ্নদ্রষ্টার হাত ধরে ল্যাবএইড এআইয়ের উদ্বোধন

মতবিনিময় সভায় যুব নেতারা / জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে 

দুর্গাপূজা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে উদ্বেগ ঐক্য পরিষদের 

মিয়ানমারে বৌদ্ধদের উৎসবে জান্তার বিমান হামলায় নিহত ৪০

আ.লীগের কর্মী-সমর্থকদের জন্য কেঁদে কেঁদে দোয়া করলেন হাদি

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে ভুল উদ্ধৃতি সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

‘আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে অনেকের গাত্রদাহ দেখেছি’

সৌন্দর্যবর্ধনে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ

১০

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

১১

ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কোরআন অবমাননা, সিএমপির জরুরি সতর্কবার্তা

১২

জাতীয়করণ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

১৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১৪

খেলা শেষ হতেই রেফারির ওপর হামলা

১৫

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর

১৬

আদালতের ‘ন্যায়কুঞ্জে’ খাবার হোটেল, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে উচ্ছেদ

১৭

অ্যানথ্রাক্স ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, রংপুর-গাইবান্ধায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু

১৮

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা / জানলে যে সব বলে দিতে হবে সেটা তো না

১৯

শেখ হাসিনা ও কামালের নির্বাচনী যোগ্যতা নিয়ে যা জানা গেল

২০
X