কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে আছে মরা গাছ। সামান্য ঝড়-বাতাসে এসব গাছ ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এতে ঝুঁকিতে রয়েছেন পথচারী, সড়কে চলাচলরত যানবাহন, পাশের দোকানঘর ও বসতবাড়ির লোকজন।। এতে ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনাও। দুর্ঘটনা রোধে এসব ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছ কেটে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদর থেকে দুলালপুর, গোপালনগ, শিদলাই সড়ক এবং নাইঘর মোড় থেকে হরিমঙ্গল, ব্রাহ্মণপাড়া থেকে মিরপুর সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের দুপাশে দাঁড়িয়ে শতাধিক মৃত, অর্ধমৃত ও শুকিয়ে যাওয়া গাছ। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের অন্তর্ভুক্ত এসব সড়কের দুপাশে লাগানো কড়ই ও শিশু প্রজাতির এসব বড় গাছ মারা গেছে অনেকদিন আগেই। এসব মরা গাছ ও গাছের ডালপালা সামান্য বাতাস বা ঝড়েই ভেঙে পড়ছে সড়কের ওপর। আর এতে দুর্ঘটনায় পড়ছে পথচারী ও এসব সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহন।
উপজেলার দুলালপুর গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকায় দুলালপুর-ব্রাহ্মণপাড়া সড়কে গত ৩ বছর আগে এসব মরা গাছের চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে পথচারীদের। এ ছাড়া এসব মরা গাছ ভেঙে সড়কের পাশের দোকানঘর ও বসতবাড়িতে পড়ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া থানা কমপ্লেক্সের সামনের জলিল মিয়া নামে এক ব্যক্তির দোকানঘরের চালে এখনো একটি মরা গাছ পড়ে রয়েছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে দ্রুত এসব গাছ কেটে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। মরা গাছগুলো কেটে নিয়ে এসব স্থানে নতুন করে গাছের চারা রোপণের কথাও বলছেন তারা।
উপজেলার দীর্ঘভূমি গ্রামের মো. শাহীন বলেন, ‘ব্রাহ্মণপাড়া দুলালপুর সড়কটি খুবই ব্যস্ত একটি সড়ক। মরা গাছের কারণে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হয় এ সড়কে। তিন বছর আগে বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় এ সড়কে মরা গাছ পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। যখন-তখন ডালপালা ভেঙে পড়ছে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
উপজেলার চারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন বলেন, অনেকদিন হয় কুমিল্লা-মিরপুর সড়কে অনেক গাছ মরে গেছে। এখন এসব গাছ ও ডালপালা যখন-তখন ভেঙে সড়কের ওপর পড়ছে। কিছুদিন আগে চারিপাড়া থেকে চান্দলা এলাকার কয়েকটি মরা গাছ পড়ে সড়কে সাময়িকভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে এসব গাছ সড়ক থেকে সরিয়ে তাদের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন। এসব গাছ দ্রুত কেটে নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যপারে উপজেলা ফরেস্ট অফিসার মাহবুবুল হক কালবেলাকে বলেন, উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশের মারা গাছ কাটার বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে। খুব দ্রুতই মরা গাছগুলো কেটে নেওয়া হবে। সে জায়গায় নতুন করে গাছের চারা রোপণের উদ্যোগও নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন