কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০২:২১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জ

আবার বাড়ছে নদনদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আবার বাড়ছে নদনদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কয়েকদিন ধরে উজানে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণে বাড়ছে নদনদীর পানি। কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমোর নদ ও তিস্তা নদীর পানি তিন দিন ধরে বেড়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও চরাঞ্চলের নিম্নভূমি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে যমুনা নদীর পানি বেড়ে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার মাত্র ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি বেড়ে রোপা আমন ২৮৫ হেক্টর ও ৫০ হেক্টর সবজিক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভারি বৃষ্টির কারণে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমোর, ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বড় ধরনের কোনো বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।

গতকাল রোববার সকাল ৯টায় কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৬১ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৭০ সেন্টিমিটার, ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে ৭৮ সেন্টিমিটার, দুধকুমোর নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৯০ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, জুলাই মাসে কুড়িগ্রামে সর্বশেষ বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় কৃষকরা রোপা আমন চাষ শুরু করেন; কিন্তু কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ২৮৫ হেক্টর রোপা আমন ও ৫০ হেক্টর সবজিক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর অভ্যন্তরে নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি।

রোববার সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার)। অন্যদিকে কাজীপুরের মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ১৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার)।

যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার পাঁচ উপজেলার যমুনা অভ্যন্তরের চরাঞ্চলের গ্রামগুলোর ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়ে বসতবাড়িতেও পানি উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে কাজীপুর উপজেলার তেকানি, খাস রাজবাড়ি, চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া, শাহজাদপুরে জালালপুর অঞ্চলে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার জানান, উজানে ভারি বর্ষণের ফলে এক সপ্তাহ ধরে ধীরগতিতে বাড়ছে যমুনার পানি। আগামী ৭২ ঘণ্টায়ও যমুনায় পানি বাড়বে। এ দফায় বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারি বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শ্রমিকদের স্বার্থে পাঁচ দফা বাস্তবায়নের আহ্বান শেখ বাবলুর

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মীদের নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের দাবি

তারাগঞ্জের কালেক্টরেট বামনদিঘি ইকোপার্ক

ইরাকের সরকার গঠনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা

আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনকে শান্তি পরিকল্পনা মানতে হবে: ট্রাম্প

ভেড়ামারায় দুর্বৃত্তের গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তুষার, সম্পাদক হাবীব

ভূমিকম্পে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৪১ জন আহত

ক্যারিয়ার শেষে কত উইকেট চান জানালেন তাইজুল

১০

 ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে রাজউকের তাৎক্ষণিক পরিদর্শন

১১

মেসিকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যা বললেন ফ্লিক

১২

গৌহাটি টেস্টের আগে ভারত শিবিরে দুঃসংবাদ

১৩

শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১৪

এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না : শিবির সভাপতি

১৫

নাটকীয় জয়ের পরও নিজের ভুলে হতবাক আকবর

১৬

স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান : প্রধান উপদেষ্টা

১৭

নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ 

১৮

ভূমিকম্পে ছেলের পর এবার চিকিৎসাধীন বাবার মৃত্যু

১৯

তারেক রহমানের জন্মদিনে ৫ হাজার মানুষকে উপহার দিলেন যুবদল নেতা

২০
X