নারায়ণগঞ্জে ১১০০ মামলায় বিএনপির ৭০ হাজার নেতাকর্মী আটকা পড়ে আছে। জেলার বিভিন্ন থানায় এসব মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেক মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলমান। গতকাল রোববার মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও বিএনপির আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। জেলা বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, এসব মামলায় প্রতিদিন হাজিরা দিতে আদালতে আসেন বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মী। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন আদালতে প্রতিদিন গড়ে ২৫টির বেশি শুধু বিএনপি নেতাদের এসব মামলার শুনানি হয়। জেলার ফতুল্লা, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে সকাল থেকেই হাজিরাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন আদালতে।
আরও জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের অধিভুক্ত মামলাগুলোর মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর নামে ৮০টি (ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ), আজহারুল ইসলাম মান্নানের নামে ৩৬টি, গিয়াসউদ্দিনের নামে ৩৬টি, জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের নামে ২৫টি, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নামে ১৮টি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের নামে ১৫টি, মহানগর বিএনপি নেতা ও কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নামে ৭০টি, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির নামে ৫৪টি মামলা রয়েছে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ মামলা শুরু হয়। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকেই আমাদের রাজনৈতিক মামলার ফাঁদে ফেলে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।
মন্তব্য করুন