সাইবার সিকিউরিটি আইন কী—তা না বুঝেই বিএনপি শুধু শুধুই সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট জনবান্ধব ও জনকল্যাণমুখী। বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো যারা আইনটি নিয়ে এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে সমালোচনা করছেন তারা বিষয়টি না জেনেই করছেন। এর পেছনে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে ইনটেলেকচুয়াল হিস্ট্রি অন স্টার্ট-আপ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন। তবে সমালোচনার আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সাইবার সিকিউরিটি আইনটি বিএনপিসহ অন্য দলগুলোকে বিশ্লেষণ করে দেখার পরামর্শ দেন তিনি।
পলক বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আইনটি করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের আইন এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে এ আইনটি করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আইনটি যুগোপযোগী এবং ভবিষ্যতের জন্য কল্যাণকর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মেন্টর, কোচ, ট্রেইনার ও অন্যরা শুধু হাতে-কলমে শেখাবেন না, কীভাবে একটি স্টার্ট-আপ তৈরি করতে হয় বরং পুরো স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাড (ওয়েব অ্যাপলিকেশন) প্রত্যেকের জন্য টিম মেম্বার হিসেবে কাজ করবে। জয় সিলিকন টাওয়ার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, রাজশাহীতে স্থাপিত স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাডটি বিনামূল্যে কোচিং, মেন্টরিং ও স্টার্ট-আপ ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসের পাশাপাশি প্রত্যেকের জন্য কো-ওয়ার্কিং স্পেসও বরাদ্দ দেবে।
এদিকে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ডিজিটাল এন্ট্রাপ্রেনারশিপ (শিল্পোদ্যোগ) অ্যান্ড ইনোভেশন ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের সার্বিক সহায়তায় স্টুডেন্ট টু স্টার্ট-আপ ভেঞ্চারস লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত মাইক্রো কোর্স অন ইনটেলেকচুয়াল হিস্ট্রি অন স্টার্ট-আপ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার রাজশাহীতে শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বক্তব্যের পর এ কর্মশালার সমাপনী ঘোষণা করেন পলক।
মন্তব্য করুন