

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর।
গত ২১ নভেম্বরের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এটি সপ্তম ভূমিকম্প হিসেবে নথিভুক্ত হলো। এর মধ্যে প্রায় ৬টির উৎপত্তিস্থলই ছিল নরসিংদী এলাকায়।
তবে একটি প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যায়, একই স্থান থেকে বারবার ভূমিকম্পের কারণ কী।
একই স্থান থেকে বারবার ভূমিকম্পের কারণের বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ভায়বহ ভূমিকম্পের একই স্থান থেকে বারবার উৎপত্তি হওয়াকে আফটারশক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির গণমাধ্যমে বলেন, ‘দেশে একটি বড় ভূমিকম্প হওয়ার পর ছোট ছোট মৃদু অনেক ভূমিকম্প হয়েছে, এগুলো আমরা এখন পর্যন্ত আফটারশক হিসেবে দেখতে পেয়েছি।’ এদিকে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্যমতে, ভূমিকম্পের গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার যার উৎপত্তিস্থল নরসিংদী। মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১।
এর আগে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে বঙ্গোপসাগরে ৪.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। উৎপত্তিস্থল উপকূল থেকে দূরে হওয়ায় তা টের পাননি বাসিন্দারা। ভারতের ভূবিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের বরাতে টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ২০.৫৬ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২.৩১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে, যার গভীরতা ৩৫ কিলোমিটার।
গত ২১ নভেম্বর নরসিংদী কেন্দ্রিক ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু ঘটে এবং কয়েক শত মানুষ আহত হন। রাজধানীর বহু ভবনে ফাটল সৃষ্টি হয়, কিছু ভবন হেলে পড়ার ঘটনাও দেখা যায়।
পরদিন ২২ নভেম্বর সকাল ও সন্ধ্যায় অল্প ব্যবধানে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় আরও তিন দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যা উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে।
মন্তব্য করুন