শেখ হারুন
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৩, ০১:৪০ এএম
আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২৫, ০১:১৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
হুমকিতে ২০ গ্রাম

এমপি রতনের অশুভ ‘ছায়া’ যাদুকাটায়

যাদুকাটার পাড় কেটে দেদার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বালু। ইনসেটে (ডানে) এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। ছবি: কালবেলা।
যাদুকাটার পাড় কেটে দেদার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বালু। ইনসেটে (ডানে) এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। ছবি: কালবেলা।

নদীর মাঝখান থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন প্রভাবশালীরা—দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায়ই এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে নদীপাড়ের বিস্তৃর্ণ এলাকা কেটে বালু তোলার ঘটনা সচরাচর শোনা যায় না। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে ঘটছে এমন অস্বাভাবিক ঘটনা। মাইলের পর মাইলজুড়ে নদীর পাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এর প্রভাবে ভাঙছে নদী। ভাঙনের তীব্রতায় বিলীন হওয়ার পথে অন্তত ২০টি গ্রাম।

স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে এমন কর্মকাণ্ড ঘটলেও তা ঠেকাতে নেই কোনো পদক্ষেপ। কারণ, ইজারার নামে নদীর তীর কেটে বালু বাণিজ্যের এই মহোৎসবের হোতা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী একটি মহল—যাদের মাথার ওপরে আছে এলাকার সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের আশীর্বাদের হাত। ফলে সব কিছু থোরাই কেয়ার করে দিন দিন বাড়ছে নদীপাড়ের বালু লুট।

যাদুকাটা নদীতীরবর্তী শিমুল বাগান, বাধাঘাট আদর্শ গ্রাম এবং বারিক টিলা এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে বালু এবং মাটি লুটপাটের এই চিত্র দেখা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, বালু কাটা প্রভাবশালীদের পেছনে এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের আশীর্বাদ থাকায় মুখ ফুটে প্রতিবাদ করার সাহসও হারিয়েছেন তারা। যদিও ইতোমধ্যে মাইলের পর মাইল ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে, বসতবাড়ি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন নদীতীরের বাসিন্দারা। অনেকে সাহস করে প্রতিবাদ করলেও পেয়েছেন হত্যার হুমকি।

যাদুকাটা নদীর তীর ঘেঁষে অন্তত পঁচিশ থেকে ত্রিশটি জায়গায় বালু ও পাথরখেকোরা তাদের অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছেন। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভিন্ন পন্থায় দিনরাত নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নদীর দুপাশে পাড় কেটে নৌকায় বালু তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বাল্কহেডে।

সরেজমিন দেখা যায়, যেসব জায়গায় এভাবে বালু বা মাটি তোলা হয়, সেখানে থাকে কড়া পাহারা। প্রভাবশালীদের নিয়োজিত এসব বাহিনীর ভয়ে ওই এলাকা দিয়ে চলাচল করে না যাত্রীবাহী নৌযানও। স্থানীয় একজন নৌযান চালককে সেখান দিয়ে নিয়ে যেতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ওইসব জায়গা দিয়ে নৌযান চলাচলে বিধিনিষেধ রয়েছে। এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে স্থায়ীভাবে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেবে। বহু অনুনয় বিনয় করেও ওই চালককে বালু উত্তোলনের স্থানে নেওয়া যায়নি।

তবে নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে বালুবোঝাই বাল্কহেড দেখা গেছে। ছোট ছোট নৌকা এবং বালুবোঝাই ট্রলার থেকে এসব বাল্কহেডে বালু ভরছেন শ্রমিকরা। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় পাড় কেটে বালতিতে করে ছোট ছোট নৌকায় শ্রমিকদের বালু ভরতে দেখা গেছে। পরে এসব বালু তোলা হয় বাল্কহেডে। অন্তত অর্ধশতাধিক ড্রেজার দেখা গেছে নদী এবং তীরবর্তী খালের বিভিন্ন স্থানে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বালুখেকো চক্রটি প্রতিদিনই যাদুকাটা নদীর উভয় তীরের গ্রাম ঘাগটিয়া, বড়টেক, গড়কাটি, ঘাগড়া, রাজারগাঁও, লাউড়েরগড়, বিন্নাকুলি, মাহারাম, মানিগাঁও, পাঠানপাড়া, কুনাটছড়া, পিরিজিপুর, আদর্শ গ্রামসহ প্রায় ২০টি গ্রামের নদীর তীর কেটে বালু উত্তোলন করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যাদুকাটা নদীর বুকে ও তীরে স্থানীয় বালু ও পাথরখেকোদের নির্যাতন বহু বছর ধরে চলে আসছে। একেক সময় একেক পক্ষের আধিপত্য থাকলেও লুটের উৎসবে শামিল থাকে সবাই। প্রভাবশালী বিভিন্ন পরিবার ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এই লুটপাটে জড়িত। অনেকে আবার এক জায়গায় ইজারা নিয়ে অন্য জায়গা থেকেও পাড় কেটে বালু উত্তোলন করছে।

বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলনের পেছনে জড়িত সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। এমনকি কয়েকজন জনপ্রতিনিধিও এমন দাবি করছেন।

তারা বলেন, এমপি রতনের প্রত্যক্ষ মদদে ইজারাদাররা যাদুকাটা নদীতে বালু লুটপাটের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এ ছাড়া এমপি রতনের সঙ্গে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত এবং তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জড়িত রয়েছেন বলেও তারা দাবি করেন। মূলত তারাই যাদুকাটা নদীর বালু উত্তোলনের পেছনে অদৃশ্য শক্তি হিসেবে রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যাদুকাটা নদীর দুটি জায়গা থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ৭০ কোটি টাকায় আরাফ ট্রেড করপোরেশন এবং মেসার্স সোহাগ এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে আরাফ ট্রেড করপোরেশনের মালিক জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মঞ্জু। আর সোহাগ এন্টারপ্রাইজের মালিক বিএনপি নেতা মো. রতন মিয়া। তাদের সঙ্গে জড়িত আছেন বাধাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন। নির্দিষ্ট দুটি জায়গার ইজারা পেলেও তারাই মূলত সিন্ডিকেট করে নদীতীরের বিভিন্ন জায়গায় ড্রেজার দিয়ে পাড় কেটে বালু উত্তোলন করছেন। আর তাদের পেছনে আছেন এমপি রতন। এ ছাড়া নদীতে চলাচলকারী প্রতিটি নৌকা থেকে এজেন্টের মাধ্যমে ২-৩ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে এমপি রতনের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা বলছেন, মাত্র ৭০ কোটি টাকার ইজারা হলেও প্রতিবছর এই মাটি, বালু এবং পাথরের ব্যবসা প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকার। আর সেই টাকা ভাগ হয় পদে পদে। গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের সরকারী কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতা ভাগ পান এ টাকার। ফলে অনেকটা বাধাহীনভাবে বছরের পর বছর চলছে বালু লুটের এই উৎসব।

নদীতীরবর্তী কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, বিভিন্ন জায়গায় মাইলের পর মাইল পাড় কেটে ফেলা হয়েছে। এর কারণ নদী বিশাল হয়ে গেছে। এভাবে পাড় কাটতে থাকলে ভাটি অঞ্চলের কিছুই থাকবে না। উজানের পানিতে হাওরে কোনো বাঁধেই কাজ হবে না। বন্যার পানি এলে এখানে সাগর হয়ে যাবে। ভাটি অঞ্চলের প্রায় ২৪টি হাওর তলিয়ে যাবে।

চেয়ারম্যানরা অভিযোগ করে বলেন, দুটি মৌজার ইজারা নিয়ে ১১টি মৌজার বালু খাচ্ছেন ইজারাদাররা। বালু উত্তোলনের ইজারা নিলেও খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর তালিকাভুক্ত ৯টি মৌজা থেকে তারা পাথর, বালু ও কয়লা উত্তোলন করছেন।

তারা জানান, উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যেসব চেয়ারম্যান এর প্রতিবাদ করেছেন, তারা হুমকির মুখে আছেন।

তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘পাড় কেটে বালু উত্তোলনের পেছনে বর্তমান এমপি রতন সরাসরি জড়িত। তিনি পেছনে থেকে ইজারাদারদের যোগসাজশে অবৈধ কাজগুলো করছেন। উপজেলার মাসিক মিটিংয়েও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারপরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।’

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনও হয়তো জড়িত। কারণ, তারা চাইলে এক দিনেই এসব বন্ধ করা যায়। কিন্তু তাদের কোনো সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না। তারা উদ্যোগ না নিলে তো বন্ধ করা যাবে না।’

বাধাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, ‘নদীর পাড় কাটা ছোটখাটো বিষয় নয়। এর পেছনে অনেক বড় ব্যক্তি জড়িত। এলাকার সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিও জড়িত। যাদের কথায় ইউএনও, ওসি, ডিসি, এসপিরা ঘোরেন; তারাই এর পেছনে আছেন। মাঝেমধ্যে অভিযান হয়, মোবাইল কোর্ট হয়। যখন অভিযান হয় এবং কোনো সাংবাদিক যান, খবর পেয়ে খালের মধ্যে ড্রেজারগুলো লুকিয়ে রাখা হয়। তখন বন্ধ থাকে। পরে আবার শুরু হয়।’

তিনি বলেন, ‘যাকে আমরা ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছিলাম, তিনিই এসবের সঙ্গে জড়িত। এজেন্টের মাধ্যমে তিনি এখান থেকে টোলের নামে টাকা-পয়সা তোলেন। ড্রেজার ফেলার সময় নিজে বসে থেকে এ কাজটা করতেন। প্রতিদিন তার সুনামগঞ্জের বাসায় ড্রেজারের টাকা যায়। প্রশাসনকে প্রলোভন এবং প্রেশার দিয়ে অবৈধ কাজটা করান।’

চেয়ারম্যান নিজামউদ্দীন আরও বলেন, ‘তিনি এমন একটা বলয় তৈরি করেছেন যে, এই এলাকায় ব্যবসা করলে তাকে টাকা দিয়েই করতে হয়। যে-ই ব্যবসা করুক, তাকে টাকা দিতে হবে। না হলে প্রশাসন দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়।’

নদীতীরবর্তী গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভিটেমাটি হারানোর ভয়ে বিভিন্ন সময় গ্রামবাসী প্রতিবাদ করলেও কোনো কিছুতেই থামছে না পাড় কাটা। মাঝে মাঝে প্রশাসনের অভিযান চললেও কিছু শ্রমিক আটক ও মামলার আসামি হয়। নেপথ্যের প্রভাবশালীরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরেই।

আদর্শ গ্রামের রাজিনা বেগম বলেন, পাড় কাটতে কাটতে তারা তার বাড়ির উঠান কাটা শুরু করেছে। বাধা দিলে তার ওপর হামলা করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তিনি জানান, যে কোনো মুহূর্তে তার বাড়িটা নদীতে চলে যাবে।

বাধাঘাটে কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা রফিক মিয়ার সঙ্গে। তিনি নদীর দিকে দেখিয়ে বলেন, ওই দূর পর্যন্ত লোকালয় ছিল। এখন পাড় কাটতে কাটতে নদীর মধ্যে প্রায় ১ কিলোমিটার চলে গেছে। প্রভাবশালী লোকেরা এখান থেকে নদীর পাড় কেটে বালু নিয়ে যায়। ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। এই এলাকাই থাকবে না। নদীর মধ্যে সব চলে যাবে।

বাধাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নাজমুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘এলাকায় নতুন এসেছি। এভাবে নদীর পাড় কাটা দেখে অবাক হয়েছি। এমন অবস্থা কোথাও দেখিনি। যারা পাড় কাটছে, তাদের উচ্ছেদ করতে না পারলে এই এলাকা টিকবে না।’

তিনি বলেন, ‘যারা পাড় কাটবে, তাদেরই ধরা হবে। তারা কোন দলের বা কে, সেটা দেখা হবে না। শুধু পুলিশের পক্ষে এ ধরনের তৎপরতা বন্ধ করা সম্ভব নয়। সবাইকেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’

নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলনের বিষয়ে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, ‘ইজারার কথা বলে নদীর পাড় কাটা হচ্ছে। কিন্তু নদীর পাড় কখনো ইজারা দেওয়া হয় না। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি। প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালালেও এতে সাময়িকভাবে পাড় কাটা বন্ধ হয়। কিছুদিন পর আবার শুরু হয়।’

বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান কালবেলাকে বলেন, ‘এমন কর্মকাণ্ডে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। হাওরের ইকো সিস্টেম বিনষ্ট হচ্ছে। গ্রাম ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির মুখে।’

তিনি দ্রুত এসব অপকর্ম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড, হাওর উন্নয়ন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানান।

অভিযোগ সম্পর্কে মন্তব্য চাওয়া হলে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন কালবেলাকে বলেন, ‘প্রতিপক্ষের লোকজন এমপির বিরুদ্ধে বলবে—এটাই স্বাভাবিক। তারা এটি বলতেই পারে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে সঠিক কোনো অভিযোগ নেই, আমার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেও না। যারা অভিযোগ করে, তারা আসলে বিএনপি-জামায়াতের প্রেতাত্মা। তারা অভিযোগ করতেই পারে।’

তিনি বলেন, ‘যাদের ইজারা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারাই অভিযোগ করছে। চার বছর ধরে তারা খেয়েছে। তারা আগে ৩২ কোটি টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছিল; কিন্তু এখন সরকার ৭০-৭৫ কোটি টাকা পাচ্ছে। তাদের সরিয়ে দিয়ে তো সরকারের লাভ হয়েছে। আমি যদি জড়িত থাকতাম, তাহলে আঁতাত করে ১ বা ২ কোটি টাকায় ইজারা নিতে পারতাম।’

নিজে জড়িত না থাকলে নদীর পাড় কেটে ভাঙন সৃষ্টির এই তৎপরতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে সংসদ সদস্য রতন বলেন, ‘বিষয়টি আমিও জেনেছি। বন্ধ করার চেষ্টাও করছি। বারবারই প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চলছে। আমি আইনের বাইরে নয়, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন যেদিকে যাবে, আমিও সেদিকে যাবে। যারা চুরি করে বালু কাটে, তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভবদহের চার দশকের দুঃখের অবসান হতে যাচ্ছে

এইচএসসি পাসেই এনজিওতে চাকরির সুযোগ

সালমানকে নিয়ে অভিমান প্রকাশ করলেন ঐশ্বরিয়া

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রথম ভর্তি পরীক্ষা আজ

এশিয়া কাপে কোন বোলারকে মিস করবে ভারত, জানালেন হরভজন

গণমাধ্যমের নামে ভুয়া ফেসবুক পেজে বিভ্রান্তি

ধূমপান না করেও ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে, যে লক্ষণ দেখে বুঝবেন

ডাকসুর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কারা এগিয়ে 

ডাকসুর ভিপি-জিএস প্রার্থীদের পরিচয়

কলম্বিয়ায় হেলিকপ্টার ও বিমানঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ১৮

১০

১১ দল নিয়ে চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে রিজিওনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

১১

হঠাৎ কেন মোবাইলের ডায়াল প্যাডে পরিবর্তন

১২

বাংলাদেশি পোশাক খাতে দুই মাসে ক্রয়াদেশ বেড়েছে ৩২ শতাংশ

১৩

গরম পানি পান করলে কি সত্যিই ওজন কমে

১৪

অবশেষে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সোহেল খান

১৫

কীভাবে যৌবন ধরে রেখেছেন রোনালদো, বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশ

১৬

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের সাক্ষাৎ

১৭

ওয়ানডেতেও অধিনায়ক হচ্ছেন গিল!

১৮

যুক্তরাষ্ট্রে ‘বেস্ট হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন মিলন

১৯

ড্রাগন ফল কারা খেতে পারবেন না, জানালেন পুষ্টিবিদ

২০
X