রাজকুমার নন্দী
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

নির্বাচনের আগেই বিএনপির বহিষ্কৃতরা দলে ফিরছেন

লক্ষ্য নির্বাচনী বৈতরণি পার
নির্বাচনের আগেই বিএনপির বহিষ্কৃতরা দলে ফিরছেন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-বিভেদ নিরসন করে সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে ‘এক ছাতার নিচে’ আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। লক্ষ্য, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত করা। কারণ, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অত্যন্ত কঠিন মনে করছে দলটি। তাই বিভেদ দূর করে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিভিন্ন কারণে এর আগে বহিষ্কৃত হওয়া তৃণমূল নেতাদের বিএনপিতে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে চব্বিশের ৫ আগস্টের পর থেকে বহিষ্কৃত হওয়া নেতারা যেমন আছেন, তেমনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বহিষ্কৃত হওয়া নেতারাও রয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বহিষ্কৃত নেতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় ধাপে ধাপে এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে এ কার্যক্রম শুরু হয়। গত ৩ নভেম্বর ২৩৭ আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এ কার্যক্রম আরও জোরালো করেছে দলটি। গত কয়েকদিনে তৃণমূলের ৬০ জনের মতো নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়, সর্বশেষ গতকাল রোববার ৪০ নেতার পদ ফিরিয়ে দিয়েছে বিএনপি। মূলত নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীদের হাত সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে তাদের পরামর্শ ও অনুরোধ বিবেচনায় নিয়ে ‘আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় এবং মাঠপর্যায়ে প্রভাবশালী’ নেতাদের দলে ফেরানোর কার্যক্রমে গতি আনা হচ্ছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে বহিষ্কৃত নেতার বড় অংশকেই দলে ফিরিয়ে নেওয়া হতে পারে।

বিএনপির দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নানা অপরাধে যাদের বিরুদ্ধে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছিল, তাদের বেশিরভাগই পদ ফিরে পেতে আবেদন করেছেন। এগুলো যাচাই-বাছাই করে অনেকের বিষয়ে দল থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেওয়া হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।

‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তবে বহিষ্কৃত হওয়ায় বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতারা সাংগঠনিক কার্যক্রমের বাইরে চলে যাওয়ায় তৃণমূলে সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-বিভেদ নিরসন করে সংগঠনকে শক্তিশালী করা এবং মাঠে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোই বিএনপির এখন মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে অভিমত অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের। তাদের মতে, দীর্ঘ সময় রাজপথে থাকা কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো এবং পুরনো-নতুন নেতৃত্বের মধ্যে দূরত্ব ঘোচানোই এখন দলের বড় চ্যালেঞ্জ। তাই বহিষ্কৃতদের ফেরানো শুধু আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি দলের নির্বাচনী কৌশলও।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ কালবেলাকে বলেন, অনেক সময় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার জন্য কিছু কিছু বিষয়ে দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সেটা তদন্ত করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে বহিষ্কৃত ও পদ স্থগিত থাকাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাদের সুযোগ দিয়ে থাকি, যদি তারা গুরুতর কোনো অনিয়ম বা গুরুতর শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করে থাকে, সে বিবেচনায়। এটা দলের একটি চলমান সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। তবে সেটা ঢালাওভাবে হচ্ছে না; কেস টু কেস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, তারপর দলে অতীতের অবদান, আন্দোলনের ত্যাগ ইত্যাদি বিবেচনা করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

বিএনপির নেতাদের ভাষ্য, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে মাঠে শক্তি পুনর্গঠনের অংশ হিসেবেই এ পুনর্বহাল প্রক্রিয়া। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরার সুযোগ পাওয়ায় পুরোনো নেতাকর্মীরা আবারও সংগঠনের কাজে যুক্ত হচ্ছেন। ফলে তৃণমূলে সংগঠন শক্তিশালী হচ্ছে। এতে করে দলীয় প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ছে।

দলটির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেন, নানা সময় বহিষ্কৃত হওয়া নেতাদের ধাপে ধাপে দলে ফেরানো হচ্ছে, এটা রাজনৈতিক বাস্তবতা। বিভিন্ন কারণে যাদের বাদ দেওয়া হয়েছিল, তারাও বিএনপিরই সন্তান। নির্বাচনে সবাইকে ‘এক ছাতার নিচে’ আনা এখন অগ্রাধিকার।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে চব্বিশের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্র ও সমাজে স্থিতিশীলতায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ গ্রহণ করে দলটি। অপকর্মে জড়িত হলেই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা হিসেবে বহিষ্কারের পাশাপাশি অনেকের পদ স্থগিতও করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নেতার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নেয় বিএনপি। দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন মিলিয়ে সাত হাজারের বেশি দলীয় সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে বিএনপির চার হাজারের অধিক নেতাকর্মী রয়েছে। বাকিরা জাতীয়তাবাদী যুবদলসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় প্রার্থিতা ঘোষণার পর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগেও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে বিএনপি।

অন্যদিকে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় সংগঠনের কয়েকশ নেতার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে দল। তবে বহিষ্কৃত নেতাদের অধিকাংশই বিভিন্ন সময় নিজেদের ভুল স্বীকার করে দলে ফিরতে আবেদন করেন।

এদিকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর অধিকাংশ নেতা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লেও কিছু নেতা নিজেদের সক্রিয় রাখেন। তাদের মধ্যে খুলনার নজরুল ইসলাম মঞ্জু অন্যতম। খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন নিয়ে দলের সিদ্ধান্তে আপত্তি তোলায় মঞ্জুকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার জায়গায় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে। তবে দলীয় পদ হারানোর পরও রাজনীতি থেকে সরে যাননি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বিভিন্ন ব্যানারে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করেছেন তার অনুসারীদের নিয়ে। খুলনায় বিভিন্ন সমাবেশ, শোভাযাত্রা ও সামাজিক আয়োজনে তার সক্রিয় উপস্থিতি ছিল নিয়মিত।

অবশ্য দলে ফিরতে মঞ্জু একাধিকবার আবেদন করলেও এর আগে কেন্দ্র থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। তবে সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে ডাক পড়েছিল তার। নির্বাচন সামনে রেখে গত মাসের শেষদিকে দশ সাংগঠনিক বিভাগের দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে ঢাকায় ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় ওই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হন মঞ্জু। চার বছর পর ওই বৈঠকের মাধ্যমে তিনি দলে সক্রিয়ভাবে ফেরেন। পরবর্তী সমেয় গত ৩ নভেম্বর ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় খুলনা-২ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পান নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, শিগগির অব্যাহতিপ্রাপ্ত মঞ্জুকে আবার দলে ফিরিয়ে নেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে মঞ্জু দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদেও পুনর্বহাল হবেন বলে তার অনুসারী কর্মী-সমর্থকদের প্রত্যাশা।

অন্যদিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২২ সালের মে মাসে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। তিনিও দল থেকে দূরে না সরে দলের সব কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। কুমিল্লার রাজনীতিতে এখনো তাকে গুরুত্বপূর্ণ ‘ফ্যাক্টর’ বলে মনে করেন স্থানীয় অনেকে। সম্প্রতি সাক্কুকেও গুলশানে নিজ বাসায় ডেকে পাঠান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাকে আগামী নির্বাচনে কুমিল্লা সদর আসনে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কথা বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

পদ ফিরে পেলেন বিএনপির ৪০ নেতা: বিভিন্ন সময় দল থেকে বহিষ্কার হওয়া এবং স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা ৪০ নেতার পদ ফিরিয়ে দিয়েছে বিএনপি। গতকাল বিকেলে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অংশগ্রহণ করায় ১নং, ৩নং, ৫নং, ৬নং, ১০নং, ১১নং, ১৪নং, ১৫নং, ১৮নং, ২২নং, ২৩নং, ২৪নং, ২৫নং, ২৬নং, ২৮নং, ২৯নং, ৩০নং, ৩১নং, ৩২নং, ৩৩নং, ৩৭নং, ৩৮নং, ৩৯নং, ৪০নং ও ৪২নং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা এবং ২২, ২৩, ২৪নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সালেহা কবির শেলী; ১০, ১১, ১২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের রুহেনা বেগম মুক্তা ও অ্যাডভোকেট জহুরা জেসমিন; ১৬, ১৭, ১৮ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কামরুন নাহার পিন্নিসহ ২নং ওয়ার্ডের নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর আগে পঞ্চগড় জেলাধীন তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতানা রাজিয়া ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় দল থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলে তার প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফান্ডের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে তাসনিম জারার বক্তব্য

জামায়াতের সঙ্গে জোটে আপত্তি জানিয়ে নাহিদ ইসলামকে এনসিপির ৩০ নেতার চিঠি 

হত্যাসহ ১০ মামলার আসামি মহিলা আ.লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার

পাগলা মসজিদে এবার পাওয়া গেল ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

বিশ্বসেরা কোচের মঞ্চে পর্তুগালের কোচের পিছনে স্কালোনি

এনসিপির ৩ শীর্ষ নেত্রীর পোস্ট, জানালেন নতুন তথ্য

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

পিরোজপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যিনি

কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই : সুপ্রদীপ চাকমা

ঢাকার মঞ্চে বেগম রোকেয়া

১০

সংকটকালে দেশ রক্ষায় বিএনপির বিকল্প নেই : রবিউল আলম 

১১

রাহিতুল ইসলামের নতুন উপন্যাস : এক বাবার দীর্ঘশ্বাস ও নির্মম সত্যের খোঁজ

১২

জাকির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ক্রিকেটাঙ্গন, আবেগঘন বার্তায় সাকিব-তামিম-মাশরাফি-শান্ত

১৩

ভোটাধিকার নিশ্চিত হলেই রাষ্ট্রের মালিক হবে জনগণ : হাবিব

১৪

তুহিনকে ধানের শীষের মনোনয়নের দাবিতে বিক্ষোভ

১৫

গবেষণাধর্মী শিক্ষায় বিনিয়োগ জিপিএইচ ইস্পাতের

১৬

আর্জেন্টিনায় ভূপৃষ্ঠের ব্যাপক গভীরে আঘাত হানল ভূমিকম্প

১৭

সৌদি আরব, আমিরাতে শ্রমিক ভিসায় যাওয়া নিয়ে সুখবর

১৮

যেসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করল বিএনপি

১৯

এনসিপি ছাড়লেন তাসনিম জারা, নির্বাচন নিয়ে নতুন ঘোষণা

২০
X