বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
প্রশ্নকারী বলেন, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। হত্যা, গণগ্রেপ্তার, অপহরণসহ বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চলছে। ক্ষমতাসীন দল আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশের এক দলের চেয়ে অন্য দলকে যুক্তরাষ্ট্র প্রাধান্য দেয় না। তাই বাংলাদেশে এই একদলীয়, কর্তৃত্ববাদী শাসন ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র কি পদক্ষেপ নেবে? জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, প্রশ্নকারী ঠিকই বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এক দলের চেয়ে অন্য দলকে প্রাধান্য দেয় না। বাংলাদেশের জনগণের চাওয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া একই। তা হলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান। এই লক্ষ্য অর্জনে সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ, অন্যান্য অংশীদারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাবে। এই লক্ষ্য অর্জনসহ বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গলে তাদের একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
আরেক প্রশ্নকারী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের জন্য বাংলাদেশের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি লিখেছেন। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দল ঘোষণা দিয়েছে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কি বাকি ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের একটি নির্বাচনকে প্রতিনিধিত্বমূলক বা অংশগ্রহণমূলক হিসেবে বিবেচনা করবে? বিএনপির বর্জনের এ সিদ্ধান্ত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্তিমূলক বা বৈধতার উদ্যোগের বিষয়টিকে কি প্রশ্নবিদ্ধ করবে? জবাবে
মিলার বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাকে টেনে নেওয়ার যে চেষ্টা, তাতে তিনি যথারীতি সায় দেবেন না। তিনি আগেই বলেছেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানই যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য।