ইতিহাসের নন্দিত বিপ্লবী চরিত্র চে গুয়েভারা। বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে খ্যাতিমান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের অন্যতম তিনি। মৃত্যুর পর চে গুয়েভারার শৈল্পিক মুখচিত্র একটি সার্বজনীন বিপ্লবের মুখচ্ছবি হিসেবে সারা বিশ্ব প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
চে গুয়েভারা ১৯২৮ সালের ১৪ জুন আর্জেন্টিনার সান্তা ফে শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম আর্নেস্তো গুয়েভারা দে লা সের্না। বিপ্লবের অগ্নিপুরুষ হিসেবে, গেরিলা নেতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে তার নামই ধ্বনিত হয়।
চে গুয়েভারা পেশায় ছিলেন ডাক্তার। তারপরও তিনি ছিলেন একাধারে বিপ্লবী, লেখক, বুদ্ধিজীবী, গেরিলা নেতা, কূটনীতিবিদ ও সমরবিদ। কিউবায় ফিদেল ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে সফল বিপ্লবের পর চে বলিভিয়ায় গিয়েছিলেন আরেকটি বিপ্লবের প্রত্যয় নিয়ে।
দীর্ঘ এ মোটরসাইকেল ভ্রমণে আর্নেস্তো একদিকে যেমন দেখেন নিম্নশ্রেণির মানুষের দুঃখ, দুর্দশা, বঞ্চনা, নিপীড়ন; অন্যদিকে দেখেন শাসকের দুর্বৃত্তায়ন, শোষণ, অত্যাচার। এ বোধ থেকেই শুরু করেন মানব মুক্তির লড়াই। চে গুয়েভারা ছিলেন কিউবা বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব।
বলিভিয়াতে থাকার সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএর (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি) মদতপুষ্ট বলিভিয়ান বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন। ১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর, বলিভিয়ার শহর লা হিগুয়েরাতে বলিভিয়ার সেনাবাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করে। মৃত্যুর পর তিনি সমাজতন্ত্র অনুসারীদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শে পরিণত হন।
মন্তব্য করুন