ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫০ এএম
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

দুর্বল সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

দুর্বল সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

অর্থনীতি ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সব সূচকের অবনতিই তার সাক্ষ্য। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হারের সঙ্গে মজুরি বৃদ্ধি মিলছে না। দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতির কশাঘাতে দারিদ্র্যসীমার নিচের পরিবার শুধু নয়, নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষও পর্যুদস্ত। বৈষম্যের অভিঘাতে মানুষ জর্জরিত। নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্য-মধ্যবিত্ত অংশের সঞ্চয়, আয় ও কর্মসংস্থানে বড় ধরনের আঘাত পড়েছে। এসবের প্রভাব যুবকদের জনশক্তিতে রূপান্তর না করে অনিশ্চিত যাত্রায় ঠেলে দিচ্ছে। সমাজের মাঝখানের শ্রেণিগুলোতে ভাঙন ধরেছে। একইভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিশেষত ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলোও মূল্যবৃদ্ধির অভিঘাতে আক্রান্ত। খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লেও তার সুফল কৃষক পান না, পান মধ্যস্বত্বভোগীরা। কৃষকের দিন আনি দিন খাই বা ঋণ করেই যাপিত জীবন চলছে। ঘরে ঘরে নগদ টাকায় টান পড়েছে।

ঋণে জর্জরিত সরকারেরও অর্থাভাব প্রকট। আয় কম বলে পাওনা পরিশোধে হিমশিম অবস্থা। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ও সরবরাহ কমে আসায় ডলারের বিপরীতে টাকার টানা পতন অর্থনীতিতে গভীর নিম্নচাপের জন্ম দিয়েছে। আইএমএফের বেলআউট প্যাকেজের আওতায় অর্থনীতি শুশ্রূষায় আছে।

এখন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ‘উন্নয়ন-বিস্ময়’ নিয়ে নীরব; বরং বিশ্বের বিভিন্ন ঋণমান পূর্বাভাসকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের ঋণমান নামিয়ে দিচ্ছে। দৃশ্যমান হাত-ক্ষমতা এবং কর্তৃত্ব-কেন্দ্রীভূত হওয়ায় বাজারের ‘অদৃশ্য হাত’ কাজ করতে পারছে না। নাগরিকরা এই দুর্বিষহ জীবন থেকে উত্তরণের পথ খুঁজছেন। একই প্রেক্ষাপটে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে অস্থিরতা চলমান। ভূরাজনৈতিক ছায়াযুদ্ধের হুমকিও বিদ্যমান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ম্যান্ডেট বা দায়িত্ব মূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। এ লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মুদ্রা সরবরাহ, বৈদেশিক লেনদেন বিনিময়, সুদের হার নির্ধারণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রা সরবরাহকে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে মানানসই না করে বড় অঙ্কের অর্থ ছাপিয়ে সরকারকে দিয়েছে। এই ছাপানো টাকা আবার মূল্যস্ফীতি বাড়িয়েছে। টাকা ছাপিয়ে ঋণ দেওয়া বন্ধ করে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মাধ্যমে টাকা ধার করায় সুদহার বেড়ে হয়েছে ১১ শতাংশ। সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি রোধ নিয়ে সন্দেহ আছে। সুদহার বৃদ্ধিতে উৎপাদন খাত ঋণ নেওয়া কমিয়ে দিলে দেশের প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হবে। ঋণ পরিশোধ করতে টাকার দরকার হবে। তখন মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। দ্বিতীয়ত, সার্বিক লেনদেন ভারসাম্যের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টে প্রথমবারের মতো ঘাটতি বেড়ে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। পুঁজি পাচার, হাওলা ও হুন্ডি-সংক্রান্ত অভিযোগ নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপও নিতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা লাগামহীন।

মূল্যস্ফীতির চাপ লাঘবে অর্থ মন্ত্রণালয় তথা রাজস্ব নীতির বড় ভূমিকা থাকে। মানুষ দুর্দশায় নিমজ্জিত হলে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সহায়তায় জীবনযাপন চালিয়ে নেওয়ার বিধান সারা পৃথিবীতেই আছে। কিন্তু সামাজিক সুরক্ষা জাল ছিন্নভিন্ন, বিক্ষিপ্ত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক না হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে দারিদ্র্য বেড়েছে। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় সরকারি অর্থ ব্যয় হলেও দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলের কার্যকারিতাও প্রশ্নবিদ্ধ।

অযৌক্তিক প্রকল্প ব্যয় বাড়ানোয় ঋণের পরিমাণও বেশ বেড়েছে। অন্যদিকে রাজস্ব আয় বাড়েনি। বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার হার গত ১৪ বছরে বেড়েছে ৩২২ শতাংশ। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাওনার পাহাড় জমছে। ভর্তুকি ও প্রণোদনা পরিশোধের মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই। কর ও মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) অনুপাতের দিক দিয়ে বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান একেবারে তলানির দিকে। জিডিপি যা দেখানো হয়, সে অনুযায়ী বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত এমনটা হওয়ার কথা নয়। সঞ্চয় হার কমে যাওয়ায় স্থবির হয়ে থাকা বিনিয়োগ আরও কমছে। আনুষ্ঠানিক খাতে নতুন কর্মসংস্থান না বাড়ায় অনানুষ্ঠানিক খাতে সৃষ্ট কর্মসংস্থান কখনোই টেকসই হতে পারে না; বাইরের অভিঘাত মোকাবিলা করতে পারে না।

এরই মধ্যে দুই জেনারেশন সর্বজনীন ও গুণগত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বিশিল্পায়ন ঠেকানো, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির কৌশল অনুপস্থিত। বর্তমানের ভোগ ব্যয়কেন্দ্রিক জিডিপি বৃদ্ধির মডেল থেকে বেরিয়ে দেশীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগকেন্দ্রিক টেকসই সবুজ প্রবৃদ্ধির কাঙ্ক্ষিত অগ্রযাত্রা অধরাই থেকে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া ঋণের বোঝা টানতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। বড় অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশ যে ঋণ নিচ্ছে তার পরিমাণ মাত্র সাত বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন যে ঋণ করছে, তার একটি বড় অংশও যাচ্ছে সেই ঋণ পরিশোধের পেছনেই।

আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং বাজেট সহায়তার জন্য বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে ঋণ নেয় শেখ হাসিনার সরকার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্যে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় জাপান, চীন, রাশিয়া ও ভারতের কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে এবং নিচ্ছে। পাবলিক ও প্রাইভেট মিলিয়ে ২০১৭ সালের শেষে বাংলাদেশের সার্বিক মোট ঋণ ছিল ৫১.১৪ বিলিয়ন ডলার ২০২৩ সালের শেষ প্রান্তিকে এটি ১০০.৬৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।

বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর সুদ এবং আসল পরিশোধের পরিমাণ প্রতি বছর বাড়ছে। অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক, রাজস্ব আহরণ, রপ্তানি বাণিজ্য, ডলার সংকট ও রিজার্ভ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন ভবিষ্যতে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও চাপের মুখে পড়তে পারে। একশ বিলিয়ন ডলারের যে ঋণ, এর মধ্যে বেশিরভাগই সরকারের ঋণ। ঊনআশি বিলিয়ন ডলার তো সরকারের। সেটা জিডিপির সঙ্গে তুলনা করলে সতেরো শতাংশের কাছাকাছি। খুব একটা চাপ না। কিন্তু পরিশোধ করার পরিমাণটা সুদ এবং আসল মিলিয়ে অনেক বেশি।

বাংলাদেশ কার কাছে কতটা ঋণ রয়েছে, সে বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট ডাটা পাওয়া যায়। এ সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক ঋণ ছিল ৫৫.৬০ বিলিয়ন ডলার। এই ঋণের অর্ধেকের বেশি ৫৭ ভাগ হলো বিশ্বব্যাংক ও এডিবির কাছে। আর দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ যেসব দেশ থেকে ঋণ করেছে তার মধ্যে জাপান, রাশিয়া, চীন ও ভারত এই চারটি দেশই প্রধান। দ্বিপক্ষীয় চুক্তির বেলায় বাংলাদেশ জাপানের কাছেই সবচেয়ে বেশি দেনায়। জাপানের কাছে বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ ৯.২১ বিলিয়ন ডলার। এরপরই রাশিয়ার কাছে ৫.০৯ বিলিয়ন, চীনের কাছে ৪.৭৬ বিলিয়ন এবং ভারতের কাছে ১.০২ বিলিয়ন ডলার ঋণী বাংলাদেশ।

বর্তমানে এ ঋণ আরও অনেক বেশি। কারণ ইআরডির তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৫৬৩ কোটি ডলার ঋণ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এডিবি থেকে ১৪০ কোটি এবং বিশ্বব্যাংক থেকে ৯৬ কোটি ডলার নিয়েছে বাংলাদেশ। একই সময়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় জাপান থেকে ১৩৫ কোটি, রাশিয়া থেকে ৮০ কোটি, চীন থেকে ৩৬ কোটি, ভারত থেকে ১৯ কোটি এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিস্থিতির প্রবণতায় দেখা যায়, সরকারের বৈদেশিক ঋণ এবং এর পরিশোধ দুটোই ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের যে ঋণ ৫০ বিলিয়ন ছিল সেটি ২২-২৩ অর্থবছরে ৬২ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। এই ঋণ পরিশোধের ধারাও ঊর্ধ্বমুখী। পরিশোধের পরিমাণও বেড়ে চলেছে। চলমান অর্থবছরের জন্য তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি বরাদ্দ রাখতে হয়েছে বাজেটে। আগামী বছরগুলোতে সেটি চার বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে না, উল্টো বিদেশে অর্থ পাচার, উচ্চ শিক্ষা ও বিদেশে চিকিৎসার জন্য বিলিয়ন ডলারের বাড়তি ব্যয় হচ্ছে, যেটা দুশ্চিন্তার বিষয়। বাংলাদেশে বাস্তবতা হলো বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব এবং ব্যয় বৃদ্ধি হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ খাতে একটা বড় অঙ্কের ঋণের বোঝা রয়েছে সরকারের কাঁধে। ডলারের রিজার্ভও ক্রমাগত কমছে। সেইসঙ্গে ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে ঋণ পরিশোধে ব্যয় আরও বেড়েছে টাকার অঙ্কে।

টাকার অঙ্কে কিন্তু আমার বৈদেশিক ঋণ প্রায় চল্লিশ শতাংশ বেড়ে গেছে। বিরাশি থেকে একশ সতেরো হয়ে গেছে, অর্থাৎ আমাকে রাজস্ব চল্লিশ শতাংশ বেশি কালেক্ট করতে হবে। এটা বড় সমস্যা। আমাকে ম্যাক্রো (সামষ্টিক অর্থনীতি) স্ট্যাবিলিটি রাখতেই হবে। আমাকে রাজস্ব বাড়াতেই হবে। তা না হলে আমি ম্যাক্রো স্ট্যাবিলিটি রাখতে পারব না। কাঠামোগত দুর্বলতা আছে যেসব সেক্টরে সেখানে বিনিয়োগ করতে হবে, করে বৈদেশিক মুদ্রা সেভ করতে হবে।

লেখক: সাবেক কর কমিশনার ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান-ন্যাশনাল এফএফ ফাউন্ডেশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হার্টের যত্নে যেসব খাবার খাবেন

২ আগস্ট স্বজনদের যা করতে বললেন শেখ হাসিনা, জানালেন আলাল

কমিউনিটি ব্যাংকের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কর্মশালা

ট্রাম্পের গলফ ক্লাবের আকাশে অনধিকার প্রবেশ, তারপর...

যশোরে বাস-ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

‘জামায়াত ক্ষমতায় এলে জুলাই শহীদদের জাতীয় মর্যাদা দেওয়া হবে’

শুধু মানুষ নয়, পশুপাখিও চিন্তা করে যুক্তি দিয়ে

শাহবাগে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ‘রাজনৈতিক মব’ হয়েছিল

আবারও ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরায়েলি বিমানবন্দর বন্ধ

‘বিএনপি নির্বাচিত হলে প্রতিটি ঘরে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে’

১০

দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দগ্ধ রোমের দুই পুলিশ

১১

এক দেয়াল ও ১৪ দরজা-জানালা রং করতে ৬৫৮ মিস্ত্রি!

১২

এনসিসি জাতীয় কোনো ধারণার সঙ্গে একমত হইনি : সালাহউদ্দিন

১৩

সাদিয়ার স্বপ্ন পূরণে পাশে পারভেজ মল্লিক

১৪

‘জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে আগামীতে কাদের সেবা করার সুযোগ দেবে’

১৫

শহীদ শিশু রিয়া গোপ হত্যার বিচারের আশ্বাস সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার

১৬

পাঠ্যপুস্তকে ভুল সংশোধনে শিক্ষকদের পরামর্শ চাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

১৭

ঢাবির হল থেকে ছাত্রলীগ নেতা আটক 

১৮

বিএনপি নেতা প্রকৌশলী সেলিমের নেতৃত্বে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১৯

মাহমুদুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোক

২০
X