দীনেশচন্দ্র মজুমদার ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী। দীনেশচন্দ্র মজুমদার ১৯০৭ সালের ১৯ মে উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম পূর্ণচন্দ্র মজুমদার।
প্রতিবেশী বিপ্লবী অনুজাচরণ সেনের মাধ্যমে যুগান্তর বিপ্লবী দলে যোগদান করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বাঘা যতীনের নেতৃত্বে বিপ্লবী অভ্যুত্থানের সময় বালেশ্বরের গুপ্তঘাঁটির পরিচালক শৈলেশ্বর বোস যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হলে অনুজাচরণের সঙ্গে রাত জেগে তিনি সেবা করেন। এরপর দলনেতার নির্দেশে তিনি বগুড়া ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় বিপ্লবী সংগঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। চার্লস টেগার্ট নিধন চেষ্টায় আক্রমণকারী তিনজনের তিনি অন্যতম ছিলেন। আক্রমণকালে তিনি গ্রেপ্তার হন। বিচারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয়। ১৯৩২ সালে মেদিনীপুর জেল থেকে অন্য দুই বিপ্লবীসহ পালাবার সময় পা ভাঙা সত্ত্বেও আত্মগোপনে সমর্থ হন। ১৯৩২ সালে তার নেতৃত্বাধীন দুবার ওয়াটসন হত্যার চেষ্টা হয়। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার কুইনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিপ্লবীদের তাড়া করলে দীনেশের গুলিতে কুইন নিহত হন এবং তিনি বিপ্লবীদের নিয়ে আত্মগোপন করেন। ১৯৩৩ সালের ২২ মে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বিচারে তার প্রাণদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। ১৯৩৪ সালের ৯ জুলাই ফাঁসির মঞ্চে প্রাণ দেন দীনেশ মজুমদার।
মন্তব্য করুন