সাকিব আল হাসানের কাছে বোধহয় সবচেয়ে সুন্দর দিন ছিল গতকাল। এশিয়া কাপের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে মিরপুরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের পুরো সময়টাই উপভোগ করেছেন তিনি। ১৭ মিনিটের সে সংবাদ সম্মেলনে দলের অবস্থা, এশিয়া কাপ ঘিরে পরিকল্পনা ও নতুনদের প্রতি প্রত্যাশার কথা শোনালেন তিনি। কালবেলার পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো…
শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে চ্যালেঞ্জ
পাল্লেকেলেতে সাধারণত আগের রেকর্ড অনুযায়ী ব্যাটিং পিচ হয়ে থাকে। ব্যাটাররা রান করার সুবিধা পায়, বোলারদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। সেক্ষেত্রে ব্যাটারদের জন্যও চ্যালেঞ্জিং বেশি, কারণ তাড়াতাড়ি রান করতে হয়। আমাদের সবদিকে প্রস্তুতি থাকতে হবে। এলপিএলে মনে হয় আমরা ভালো পিচগুলোতে খেলিনি, যেখানে এশিয়া কাপ হবে। কিন্তু কন্ডিশন দেখে এলাম, খুব বেশি পার্থক্য (বাংলাদেশের সঙ্গে) নেই। যেহেতু আমরা তিন-চার দিন আগে যাচ্ছি, মানিয়ে নিতে খুব একটা কঠিন হবে না মনে হয়।
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের লক্ষ্য
এখন পুরোটাই এশিয়া কাপকেন্দ্রিক আমাদের পরিকল্পনা বলেন বা প্রস্তুতি সবকিছুই। এটা যখন শেষ হবে বিশ্বকাপের সময় আসবে, তখন বিশ্বকাপ নিয়ে চিন্তা করব। আপাতত এ সময় শুধু এশিয়া কাপ। আরও ছোট করে যদি বলতে চাই, এখন শুধু আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা আমাদের মাথায় আছে।
দলের প্রস্তুতি কেমন হলো
কোচ যেটা বলল খুব ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। আমিও যতটুকু জেনেছি, খুব ভালো প্রস্তুত। দুর্ভাগ্য যে, এবাদত আমাদের দলের অংশ হতে পারছে না। সে আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। তার জায়গা থেকে সেট ব্যাক। তার পরও বলব, যে ধরনের প্রস্তুতি ও স্কোয়াড আছে, আমরা অনেকদূর যেতে পারব। কিন্তু প্রথম বিষয় হলো, আমাদের প্রথম দুটি ম্যাচ খেলতে হবে; কোয়ালিফাই করতে হবে। আমরা একটা একটা ম্যাচ করে এগোতে চাই; সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার চিন্তা করব।
এটা কি বিশ্বকাপ প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্টেও
এটা (এশিয়া কাপ) দিয়ে আসলে ওটা (বিশ্বকাপ) বোঝার কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না। দুইটা পুরো ভিন্ন টুর্নামেন্ট। হ্যাঁ, যদি এখানে আমরা ভালো করতে পারি, তাহলে আমাদের সেই আত্মবিশ্বাস দেবে যে, এশিয়ার ভেতরে ভালো একটা দল হিসেবে গড়ে উঠতে পারি, তারপর বিশ্বকাপে আমাদের ভালো করার একটা সম্ভাবনা থাকবে। সেদিক থেকে এটা গুরুত্বপূর্ণ। এর মানে এই না যে, এখানে খারাপ করলে সব আশা শেষ হয়ে যাবে। আবার এমনও না যে, এটাতে ভালো করলেও আশা আরও বেড়ে যাবে।
তরুণ ওপেনার তানজিদ তামিমের কাছে প্রত্যাশা
আমি অনেক আশাবাদী। শুধু আমি না, পুরো টিমই অনেক আশাবাদী যে, তামিম অনেক ভালো করবে। এর মানে এই না যে, এই দুই ম্যাচ বা চার ম্যাচ যদি ভালো না খেলে তাহলে সে ভালো হতে পারবে না। আবার এমন না যে, এই চার ম্যাচ ভালো করলেই সে ভালো খেলোয়াড় হয়ে যাবে। সামনে অনেক সময় আছে। আমি যেটা চাইব তার থেকে, সম্প্রতি সে যেটা করে আসছে, এমন পারফরম্যান্সটাই করবে এবং খেলাটা যেন উপভোগ করে। ড্রেসিংরুমের পরিবেশটা উপভোগ করে।
অবসর ভেঙে অভিজ্ঞ তামিমের ফেরা
যে কোনো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই আসলে দলের জন্য জরুরি। দলকে কতটুকু সাহায্য করতে পারে, সেটার ওপর নির্ভর করে সবকিছু। কিন্তু অবশ্যই অভিজ্ঞতার তো দাম আছে অবশ্যই। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলে থাকলে কন্ডিশন সম্পর্কে বা বড় বড় টুর্নামেন্টগুলো খেলার যখন অভিজ্ঞতা থাকে; সেগুলো যখন শেয়ার করে, সেটা সবার জন্য সহজ হয়ে যায়। বিশেষ করে যারা নতুন দলে।
নিজের ব্যাটিং পজিশন
যে কোনো জায়গায় আমি যদি দলের জন্য অবদান রাখতে পারি, আমি উপভোগ করি। চার বছর আগে কী করেছি, তার মানে এই না যে, চার বছর পরও সেটা করতে পারব। দলের প্রয়োজনে যে জায়গাটায় খেলা প্রয়োজন, যার যেখানে অবদান রাখা প্রয়োজন, সেটা যদি করতে পারে দলের লাভ হবে।
মন্তব্য করুন