উইম্বলডন ফাইনালে কার্লোস আলকারাজের কাছে হারের পর নোভাক জকোভিচের মা-বাবা চেয়েছিলেন ছেলে অবসর নিক। অবাধ্য ছেলে কথা শোনেননি। ভাগ্যিস এটুকু অবাধ্য হয়েছিলেন। না হলে ইউএস ওপেনের ফাইনালে আজ সার্বিয়ান তারকাকে পাওয়া যেত না। ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে বেন শেল্টনকে ৬-৩, ৬-২, ৭-৬ (৭-৪) গেমে উড়িয়ে আজ রাশিয়ার ডানিল মেদভেদেভের বিপক্ষে কোর্টে নামবেন।
আজ জিতলে ২৪তম গ্র্যান্ডস্লামের মালিক হবেন জকোভিচ। তবে ইউএস ওপেনের দর্শকদের মনে একটা আক্ষেপ রয়ে গেল। তারা ফাইনালে উইম্বলডনের রিমেক দেখতে পেলেন না। ৩৬ বছরের সার্ব তারকা কথা রাখলেও সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছেন উইম্বলডন জয়ী আলকারাজ। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মেদভেদেভ ৭-৬ (৭-৩), ৬-১, ৩-৬, ৬-৩ গেমে হারান তাকে। আজ ফাইনালে তার কঠিন পরীক্ষা। চলতি বছর হার্ডকোর্টে এখন পর্যন্ত একটিই ম্যাচ হেরেছেন জকোভিচ। সেটি আবার দুবাইয়ে মেদভেদেভের কাছেই। ফাইনালে ওঠার পর মেদভেদেভ বলেন, ‘রোববার এখানে খেলতে পারব ভেবে দারুণ লাগছে। ম্যাচের আগে বলেছিলাম, আলকারাজকে হারাতে গেলে আমাকে ১০-এর মধ্যে ১১ করতে হবে। আজ (শুক্রবার) তৃতীয় সেটটা বাদ দিলে আমি ১০-এর মধ্যে ১২ করেছি।’ জকোভিচের বিপক্ষে রোববারের ফাইনাল নিয়ে মেদভেদেভ বলেন, ‘যার ২৩টি গ্র্যান্ডস্লাম আছে, তার বিপক্ষে আমাকে খেলতে হচ্ছে। আমার একটাই গ্র্যান্ডস্লাম। চ্যালেঞ্জ তো এটাই। ২০২১ সালে এখানেই ওকে হারিয়েছিলাম, যা খেলি, তার থেকে ভালো খেলেছিলাম। নিজেই নিজেকে ছাপিয়ে গিয়েছিলাম। আরও একবার সেটাই করতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’ সার্বিয়ান তারকা অবশ্য আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছেন। ফাইনালে ওঠার পর তিনি বলেন, ‘আমার কথা অহংকারীর মতো শোনাতে পারে। তবে আমি অবাক নই। এই পর্যন্ত আসতে কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে, সেটা শুধু আমিই জানি। কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে জানি। এটাও জানি, আমার প্রাপ্য কী। নিজের ওপর বিশ্বাস রয়েছে আমার। যখন যতটা দেওয়া প্রয়োজন, তখন ততটাই দিতে পারি। টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে আমার সেই দক্ষতা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বয়স একটা সংখ্যা ছাড়া কিছু নয়। এই মুহূর্তে এ ছাড়া আমার কিছু মনে হচ্ছে না। অবসর নেওয়ার কথা একেবারেই ভাবছি না। এখনো আমি শীর্ষ স্তরে রয়েছি। কেন টেনিস ছাড়ার কথা ভাবব? আগামী দিনে যদি তরুণ খেলোয়াড়রা আমাকে গ্র্যান্ডস্লামের লড়াই থেকে বার করে দিতে পারে, তখন ভাবব।’ সেমিফাইনালে সরাসরি সেটে শেল্টনকে হারিয়ে কাউকে ফোন করার ভঙ্গিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন জকোভিচ। তা নিয়ে একজন প্রশ্ন করেন, আপনি কি আমেরিকার তরুণকে বিদ্রুপ করলেন? জকোভিচ বলেন, ‘শেল্টনের উৎসবে এই ধরনটা আমার দারুণ লাগে। ওর উদযাপনের মধ্যে একটা স্বাভাবিক উচ্ছ্বাস রয়েছে। তাই ওকে নকল করলাম। বলতে পারেন, শেল্টনের উদযাপনের ভঙ্গিটা চুরি করেছি।’ আজ বছরের শেষ গ্র্যান্ডস্লাম জিতেও কি সেই ভঙ্গি নকল করবেন তিনি?
মন্তব্য করুন