খেলা ছাড়ার পর অনেক ক্রীড়াবিদ হতাশ হয়ে যান। কাউকে ট্র্যাকচ্যুত হতেও দেখা যায়। বাংলাদেশের মতো দেশে এমন প্রবণতা অনেক বেশি। পরিকল্পিতভাবে এগোতে পারলে খেলা ছাড়ার পরও সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার গড়া যায়। এ-সংক্রান্ত কর্মশালা হয়ে গেল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে (বিওএ)। বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের ওপর আয়োজিত কর্মশালার নাম ছিল ‘অ্যাথলেট-৩৬৫ ক্যারিয়ার’। দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়েছে এ ধরনের কর্মশালা। দুই দিনের এ কার্যক্রমে বিভিন্ন ফেডারেশনের ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৪০ ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালা পরিচালনা করেছেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি মনোনীত প্রশিক্ষক শ্যারন স্প্রিঙ্গার; যিনি ব্যাডমিন্টন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশনের হেড অব এডুকেশন হিসেবে কাজ করছেন।
কর্মশালার প্রথম দিনে ক্রীড়াবিদদের জন্য ছিল আত্মোপলব্ধি সংক্রান্ত ব্রিফিং। নিজস্ব উপলব্ধি, দক্ষতা, কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে কীভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখা যায়—এ নিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের ব্রিফ করেছেন শ্যারন। চার সেশনে ক্রীড়াবিদদের নিজস্ব সক্ষমতা, মূল্যবোধ, আগ্রহ, আবেগ ব্যবহার করে কীভাবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাজাতে পারেন—এ নিয়ে উদীপ্ত করা হয়েছে। গতকাল ছিল কর্মশালার সমাপনী দিন। এদিন ক্রীড়াবিদদের বিভিন্ন কর্মসংস্থানে আবেদনের জন্য নিজেদের জীবনবৃত্তান্ত এবং কভার লেটারের মতো নথিপত্র তৈরির কৌশলের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। আরও উপস্থিত ছিলেন বিওএর কোষাধ্যক্ষ এ কে সরকার, নির্বাহী কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান কোহিনুর, বিওএ মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ বি এম শেফাউল কবীরসহ অন্যরা।
মন্তব্য করুন