সমীকরণটা সহজ—জিতলে সেমিফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ। হার কিংবা ড্র যথেষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মিলতে হবে লেবানন-মালদ্বীপ ম্যাচের সমীকরণ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ‘বি’ গ্রুপের লড়াইয়ে সমীকরণের জটিলতায় যেতে চায় না বাংলাদেশ, ভুটানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে নাম লেখাতে চায় হাভিয়ের ক্যাবরেরার দল। চেন্নাইয়ের শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে এ ম্যাচ। সরাসরি দেখা যাবে টি-স্পোর্টসে।
২০০৯ সালের ঢাকা আসরে সর্বশেষ সেমিফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। মাঝে হয়ে যাওয়া পাঁচ আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে লাল-সবুজরা। ২০১৮ সালের ঘরের মাঠেও গ্রুপ পর্বের হার্ডলস টপকানো যায়নি। কুয়েত ও লেবাননের অন্তর্ভুক্তির কারণে কঠিন হয়ে গেছে এবারের আসর। প্রথম ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে ইতিবাচক ফুটবল খেললেও ফল পাওয়া যায়নি, হারতে হয়েছে ২-০ গোলে। দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রথমে গোল হজমের পর আরও একবার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের শঙ্কা জাগে। উজ্জীবিত ফুটবল খেলে সে শঙ্কা উড়িয়ে দেয় ২০০৩ সালের চ্যাম্পিয়নরা। আজ মালদ্বীপ ম্যাচ থেকে উজ্জীবনি শক্তি খুঁজছে বাংলাদেশ দল।
‘লেবাননের বিপক্ষে আমরা প্রথম ম্যাচে ভালো খেলেছি। আপনারাও দেখেছেন খেলার ধরন আগের চেয়ে বদলেছে। মালদ্বীপের বিপক্ষে আমরা আক্রমণাত্মক খেলেছি। তিন গোল পেয়েছি, এটা আমাদের শেষ ম্যাচে কাজে দেবে’—ভুটান ম্যাচ প্রসঙ্গে বলছিলেন ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন।
সব প্রতিযোগিতায় ভুটানের বিপক্ষে ১৩ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জয়ের পাল্লা বাংলাদেশের দিকেই ঝুঁকে আছে—১০ ম্যাচ জিতেছে
লাল-সবুজরা। একমাত্র হার ২০১৬ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের অ্যাওয়ে ম্যাচে। থিম্পুর সে ম্যাচে হার ৩-১ গোলে। ২০০৮ ও ২০১৬ সালে বাকি দুই ম্যাচ ছিল অমীমাংসিত। দুই দেশ সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছে ২০১৯ সালে প্রীতি ম্যাচ সিরিজে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দুটি ফিফা প্রীতি ৪-১ ও
২-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে ৬ গোল করা পাঁচ ফুটবলারের মধ্যে এবারের স্কোয়াডে আছেন রবিউল হাসান।
ম্যাচের আগে উইঙ্গার মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেছেন, ‘মালদ্বীপ ম্যাচের আগে কোচ বেশ সিরিয়াস ছিলেন, সেমিফাইনালে নাম লেখাতে উদগ্রীব ছিলেন। ম্যাচ জয়ের পর সবার মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এখনো আমরা সিরিয়াস, কারণ এখনো কোনোকিছু অর্জিত হয়নি। লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভুটানের বিপক্ষে জয় প্রয়োজন। আমাদের পুরো ফোকাস এ ম্যাচের দিকে।’
‘বি’ গ্রুপে আজ প্রথম ম্যাচে লেবানন-মালদ্বীপ মুখোমুখি হবে। এ ম্যাচের পর বাংলাদেশের সমীকরণ আরও পরিষ্কার হবে। ম্যাচে মালদ্বীপ হেরে গেলে ভুটানের সঙ্গে ড্র করলেই শেষ চারের টিকিট পাবে লাল-সবুজরা। ম্যাচে মালদ্বীপ জিতলে বাংলাদেশের সামনে জয়ের বিকল্প থাকবে না। শুধু জিতলেই হবে না, বাড়িয়ে নিতে হবে গোল গড়ও। লেবাননের বিপক্ষে মালদ্বীপ জিতলে, ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতলে—তিন দেশের সংগ্রহ সমান, ৬ পয়েন্ট করে হবে। সে ক্ষেত্রে গোল গড়ই হবে ভাগ্য নির্ধারক। ভাগ্যটা অন্যের হাতে না রাখার একটাই পথ—ভুটানের বিপক্ষে জয়। আজ বাংলাদেশ এ জন্যই ঝাঁপাবে। প্রায় ১৪ বছর পর সেমিফাইনালে নাম লেখাতে পারবে তো বাংলাদেশ!
মন্তব্য করুন