নানা আইনি জটিলতা বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়র হিসেবে নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের শপথ নেওয়ার বিষয়টি এরই মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাও এসেছে। সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ-সংক্রান্ত গত ১৯ আগস্ট যে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল, সেই প্রজ্ঞাপন থেকে ‘চট্টগ্রাম’ বাদ দিয়ে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ প্রজ্ঞাপনের ফলে মেয়র হিসেবে শপথ নিতে ডা. শাহাদাত হোসেনের আর আইনি বাধা রইল না। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মাহবুবা আইরিন ওই সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে অংশ বিলুপ্ত বলে জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪-এর ১৩ (ক) প্রয়োগ করে বাংলাদেশের সিটি করপোরেশনের মেয়রদের নিজ নিজ পদ থেকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। এখন ওই প্রজ্ঞাপনের ক্রমিক নম্বর ৩ বিলুপ্ত করে সংশোধন করা হলো।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান। ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ৯ জনকে বিবাদী করে মামলাটি করেছিলেন মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন। গত ৮ অক্টোবর বিএনপির নেতা শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।
ডা. শাহাদাত হোসেনের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘মেয়রদের অপসারণ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল, তা সংশোধন করা হয়েছে। ফলে মেয়র হিসেবে শপথ নিতে আর কোনো বাধা নেই। আমরা প্রজ্ঞাপন হাতে পেয়েছি। আশা করছি রবি-সোমবার নাগাদ শপথ গ্রহণ হতে পারে।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ডা. শাহাদাতের বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে আলোচনা হয়েছে। এখন যে পরিস্তিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা আগে কখনো হয়নি। টানা আওয়ামী শাসনকালে নির্বাচন ব্যবস্থা কেমন ছিল এটা কারও অজানা নয়। ডা. শাহাদাতের বিষয়টি নিয়ে আদালতে নির্দেশনা আছে। তাই এটা আইনিভাবেই এগোচ্ছে। সরকারের উচ্চ মহলেও বিষয়টি অবগত। এখন পর্যন্ত সব বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আশা করছি বিষয়টি দ্রুত সুরাহা হবে।