ফরহাদ সুমন, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রামে কিলিং মিশনে ৭.৬৫ এমএম পিস্তল ব্যবহার

পুলিশের ধারণা
চট্টগ্রামে কিলিং মিশনে ৭.৬৫ এমএম পিস্তল ব্যবহার

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোডে কিলিং মিশনে ৭ দশমিক ৬৫ (মিলিমিটার) বোরের পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ঘটনার চার দিন পর গতকাল দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজে ওই দুজনকে কিলিং মিশনে অংশ নিতে দেখা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তিনজনকে শনাক্ত করা গেছে। তাদের গ্রেপ্তার এবং কিলিং মিশনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে। ঈদের আগের দিন মধ্যরাতে এমন ঘটনায় রাজাখালী ও এক্সেস রোডের বাসিন্দারা আতঙ্কে ছিলেন। দুজন গ্রেপ্তারের খবরে সেটা অনেকটা কেটে গেছে।

চন্দনপুরার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ৫ আগস্টের আগেও এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেনি। ২০০০ সালে নগরীর বহদ্দারহাটে কিলিং মিশনে আটজনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। ২৫ বছর পর এক্সেস রোডে আবারও ফিল্মস্টাইলে কিলিং মিশনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরিবার নিয়ে আতঙ্কে ছিলাম। দুজন গ্রেপ্তারের খবর শুনে স্বস্তি লাগছে।

বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত গুলির খোসা থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, কিলিং মিশনে ৭ দশমিক ৬৫ (মিলিমিটার) বোরের পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছে। তা ছাড়া সংগৃহীত সিসিটিভি ফুটেজে শর্টগানও দেখা গেছে।

ঈদের আগের দিন রাত পৌনে ৩টার দিকে পাঁচটি মোটরসাইকেল আরোহী সশস্ত্র যুবকরা একটি চলন্ত প্রাইভেটকার লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার চালায়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হন। আহত হয়ে আরও দুজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

নিহত বখতিয়ার হোসেন মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে নগরীর বাকলিয়া থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাসহ সাতজনকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। যদিও সাজ্জাদের স্ত্রীর দাবি, সব তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

পুলিশের ভাষ্য, কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগের হাতে ছিল ৭ দশমিক ৬৫ (মিলিমিটার) বোরের পিস্তল। এর মধ্য তিনজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ফুটেজে কালো জ্যাকেট পরিহিত, কাঁধে ব্যাগ ও মাথায় হেলমেট পরা যাকে দেখা গেছে, তার নাম মো. হাছান। মোটরসাইকেলে থাকা চেক শার্ট পরা ব্যক্তি মোবারক হোসেন। গেঞ্জি পরা মাথায় টুপি দেওয়া ব্যক্তি রায়হান।

সূত্র জানায়, নিহত বখতিয়ার হোসেন ও মো. আবদুল্লাহ ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। গাড়িতে সরোয়ারও ছিলেন; তবে বেঁচে যান। নিহতের পরিবারের করা মামলায় বলা হয়েছে, দুই ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ এবং সরোয়ার হোসেনের মধ্যে বিরোধের জেরে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়ায় জন্য দায়ী করে ক্ষুব্ধ হয়ে সরোয়ার ও তার অনুসারীদের ওপর এ হামলা চালানো হয়।

প্রাণে বেঁচে যাওয়া গাড়ির আরোহী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, চান্দগাঁও এলাকার বাসিন্দা সরোয়ার হোসেনের ডাকে তারা অক্সিজেন থেকে নতুন ব্রিজ বালুর টাল এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে হামলার মুখে পড়েন। তিনি বলেন, সম্প্রতি সাজ্জাদের গ্রেপ্তার এবং এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝামেলা বেড়েছে।

বাকলিয়া থানা সূত্র জানায়, বাকলিয়া এক্সেস রোডে কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া শুটার মো. বেলাল (২৭) এবং পরিকল্পনাকারী মো. মানিককে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে বেলালকে চান্দাগাঁও থানাধীন মনসুরের বিল্ডিং থেকে এবং মানিককে ফটিকছড়ি থানাধীন কাঞ্চননগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চলছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে এক লাখ করে টাকা দেবে বিএনপি

চাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু, ১০ মিনিটে দিতে হবে ৪০ ভোট

ইস্টার্ন ব্যাংকে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ

অর্ধশতাধিক রাজনীতিকের ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

ঘুম থেকে উঠে আগে পানি খাবেন, না ব্রাশ করবেন—জানালেন চিকিৎসক

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশে ইন্টার্ন করার সুযোগ

পুয়ের্তো রিকোকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে আর্জেন্টিনার জয়

চীনকে ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ ভারতের

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১০

১৫ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১১

৩৫ বছর পর আজ চাকসুর ভোট

১২

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে বড় নিয়োগ

১৩

রাজস্থানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, বাসে আগুনে পুড়ে ২০ জনের মৃত্যু

১৪

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক স্টাফ কলেজ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

১৫

মার্কারের পরিবর্তে চক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে ডিবিএল সিরামিকস ‘টাইলচক’ 

১৬

বিশ্বে শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান কত?

১৭

হোয়াইটওয়াশ লজ্জায় বাংলাদেশ, একশও ছুঁতে পারলেন না মিরাজরা

১৮

হাটহাজারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

১৯

জাল সনদে ১৮ বছর শিক্ষকতা, জেনেও ব্যবস্থা নেননি অধ্যক্ষ

২০
X