মাইলেজ জটিলতা নিরসনে রেলওয়ের রানিং স্টাফদের (ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, গার্ড ও টিটি) পক্ষ থেকে কর্মবিরতির যে আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল, তা শেষ হচ্ছে আজ রোববার রাত ১২টায়। এ ইস্যুতে গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ফের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন রানিং স্টাফরা। দাবি আদায় না হলে ঘোষণা অনুযায়ী কর্মবিরতি শুরু করবেন বলে জানান রানিং স্টাফরা। এতে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই রেলওয়ের রানিং স্টাফদের ১৬০ বছরের সুযোগ-সুবিধা একটি কালো চিঠির মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা জামায়াত-শিবিরের লোকজন পরিস্থিতি বিগড়ে দিতে এসব কাজ করছে। ২৭ আগস্ট রাত ১২টার মধ্যে তাদের মাইলেজ জটিলতার নিরসন না হলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১২টা ১ মিনিট থেকে লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকায় গত ২৩ আগস্ট রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল; কিন্তু বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা হয়নি। কালবেলার হাতে আসা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, যাত্রীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় কর্মবিরতি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
বিভিন্ন জটিলতার কারণে বিষয়টি মীমাংসায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চান তিনি; কিন্তু ১৬০ বছরের মাইলেজের দাবিতে বেশ কয়েকবার আশ্বাস দিয়েও কথা রাখা হয়নি বলে জানান রানিং স্টাফ সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান। এ সময় দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন রানিং স্টাফ সমিতির নেতা মজিবুর রহমানকে সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান। শেষে বৈঠক থেকে উঠে চলে যান রেলমন্ত্রী।
মন্তব্য করুন