পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি স্থাপন করলেও দৃশ্যমান অগ্রগতির অনুপস্থিতি আবারও অতীতের মতো গুরুত্বপূর্ণ নীতিপরামর্শ উপেক্ষিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি করছে। মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের যে গতি তৈরি হয়েছে, তা যেন হারিয়ে না যায় এবং বাস্তবভিত্তিক অগ্রাধিকারগুলো দ্রুত চিহ্নিত ও বাস্তবায়িত হয়। আহ্বানটি ছিল স্পষ্ট সংস্কার। কেবল কল্পনা নয়, এটিকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।’
গতকাল রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক নীতি সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। পিআরসি, ইউএইচসি ফোরাম এবং ইউনিসেফ যৌথভাবে এ সংলাপের আয়োজন করে। এতে জনস্বাস্থ্য, নীতিগত গবেষণা, প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা ও সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
তারা দেশের বর্তমান স্বাস্থ্য প্রশাসনের চিত্র, কাঠামোগত দুর্বলতা এবং স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ধীরগতির বিশ্লেষণ উপস্থাপন করে বলেন, গত তিন মাসে তা বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। বর্তমানে যেসব কার্যক্রম চলছে, তা মূলত খাতের টেকসই উন্নয়নের দিকে মনোযোগী; কিন্তু কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়গুলো এখনো উপেক্ষিত।
এ সময় বক্তারা বলেন, কিছু কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ যেমন প্রতিষ্ঠানগত দায়িত্বে দ্বৈততা, জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থার ঘাটতি, জাতীয় স্বাস্থ্য অর্থায়ন কৌশলের অনুপস্থিতি এবং স্বাস্থ্য খাতে সরকারি বাজেট বরাদ্দের ঘাটতি স্পষ্টত প্রতীয়মান। সমতাভিত্তিক সেবা প্রদান, প্রজনন স্বাস্থ্য, চিকিৎসা প্রদানকারীদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য-সচেতনতা বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিতে হবে। রাজনৈতিক মালিকানা ও যথাযথ বাজেট বরাদ্দ ছাড়া, ভালো পরিকল্পনাগুলোও থমকে যাওয়ার ঝুঁকিতে।
আলোচনা পর্বে মতামত প্রদান করেন ড. আমিনুল হাসান, ড. ফিদা মেহরান, অধ্যাপক এম এ ফয়েজ, ড. সৈয়দ লিয়াকত আলী, ড. সৈয়দ আকরাম হোসেন, ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ, ড. জাকির হোসেন, ড. সৈয়দ রুবায়েত, ড. আবুল কালাম আজাদ, ড. মোশতাক হোসেন, শিশির মোড়ল, ড. মোহিবুল্লাহ, ড. সাইহা মারজিয়া, ড. ইমরান আহমেদ চৌধুরী, আবদুল হাকিম মজুমদার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন