

বিপিএলের ১২তম আসরে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে ইতিহাস গড়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। তবে স্মরণীয় অভিষেকের বদলে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সম্প্রতি মালিক দল ছাড়ায় বিসিবির দায়িত্বে আসা ফ্রাঞ্চাইজি চট্টগ্রাম রয়্যালসের বিপক্ষে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় নোয়াখালী।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং করে। ওপেনার মির্জা তাহির বেগ ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত টিকে থেকে খেলেন ৮০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। ৬৯ বলের এই ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছক্কা। তার সঙ্গে অধিনায়ক শেখ মেহেদীর ১৩ বলে ঝড়ো ২৬ রানের ক্যামিও চট্টগ্রামকে পৌঁছে দেয় ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৪ রানে।
চট্টগ্রামের ইনিংসে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার নাইম শেখের। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় দলে নেওয়া এই ব্যাটার ১১ বলে ১১ রান করে ফিরেছেন। এছাড়া মাহফিজুল ইসলাম (১৬), মাহমুদুল হাসান জয় (১৭) ও সাব্বির হোসেনও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শেষদিকে শেখ মেহেদীর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই স্কোরবোর্ডে প্রয়োজনীয় গতি এনে দেয়।
১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা আশাব্যঞ্জক হলেও দ্রুতই ছন্দ হারায় নোয়াখালী এক্সপ্রেস। মাত্র ২৩ রানের মাথায় বিদায় নেন হাবিবুর রহমান সোহান। পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই ৩ উইকেট হারিয়ে দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪২ রানে। সাব্বির হোসেন, সৈকত আলী ও জাকের আলী অনিক কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি।
এক প্রান্ত আগলে লড়াই চালান মাজ সাদাকাত। তিনি ২৭ বলে ৩৮ রান করে কিছুটা আশা জাগালেও দলীয় ৮৬ রানে তার বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচ কার্যত হাতছাড়া হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ১৬.৫ ওভারে মাত্র ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
বল হাতে চট্টগ্রামের বোলাররা ছিলেন ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নিয়ে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দেন তারা।
এই জয়ের মাধ্যমে বিপিএলে শক্ত বার্তা দিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। অন্যদিকে, সম্ভাবনাময় স্কোয়াড নিয়েও প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হয়ে নিজেদের ঘাটতি চিহ্নিত করার সুযোগ পেল নোয়াখালী এক্সপ্রেস। অভিষেকের হতাশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোই এখন তাদের বড় চ্যালেঞ্জ।
মন্তব্য করুন