কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০২:৫০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মহাবিদ্রোহীর প্রয়াণ দিবস আজ

মহাবিদ্রোহীর প্রয়াণ দিবস আজ

সাম্য ও মানবতার জয়গান করে গেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার লেখা প্রেম, দ্রোহ, সমতা, মানবতা-জাগরণের কবিতা ও গান শোষিত জনগণকে বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে উদ্ভূত করেছে। বাংলা সাহিত্যে নজরুলের কবিতা-গান নবজাগরণের সৃষ্টি করেছে। আজ রোববার জাতীয় কবির ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি একাধারে ছিলেন সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য রাগ-রাগিণী, যা বাংলা সংগীতজগৎকে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন। এর মধ্যে রয়েছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কবি নজরুল ইনস্টিটিউট এ উপলক্ষে আলোচনাসভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে সকাল ৭টায় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। একই সময়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় কবির সৃষ্টিকর্ম প্রসঙ্গে নজরুল বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘নজরুল ইতিহাস ও সময় সচেতন মানুষ ছিলেন, যার প্রভাব তার লেখায় স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। তুরস্কে কামাল পাশার নেতৃত্বে প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা, রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব আর ভারতবর্ষে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের তরঙ্গকে নজরুল তার সাহিত্যে বিপুলভাবে ধারণ করেছেন। সেই সময়ে ধর্মান্ধ মুসলমানদের তিনি পুনর্জাগরণের ডাক দিয়েছেন এবং এক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল একজন বলিষ্ঠ নেতার মতো।’

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। তিনি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন এবং ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ বন্ধ

সিপিএলে ওয়াইড বলে তারকা ব্যাটারের অদ্ভুতুড়ে আউট (ভিডিও)

রিটকারীকে শুভেচ্ছা জানালেন শিবিরের জিএস প্রার্থী ফরহাদ

অঞ্জলিকে ‘অশ্লীল স্পর্শ’ বিতর্কে মুখ খুললেন পবন সিং

নবীন শিক্ষার্থী ও নির্যাতিত ছাত্রনেতাদের নিয়ে রাকসু নির্বাচনের দাবি

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পুরোনো ভূমিকায় ধোনিকে চায় ভারত

সারা দেশে বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

ডাকসু নির্বাচনে ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতার রিটের শুনানি মঙ্গলবার

‎বৃদ্ধা মাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, ছেলে-পুত্রবধূসহ গ্রেপ্তার ৫

উড্ডয়নের পরপরই এয়ার ইন্ডিয়ার ইঞ্জিনে আগুন

১০

জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া ২৭ মডেল স্কুল সরকারিকরণের দাবি

১১

মা হতে চান জাহ্নবী 

১২

রাকসু নির্বাচন / নবীন শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিতে ছাত্রদলের অবস্থান

১৩

ভাতে ক্যানসারের ঝুঁকি! নতুন গবেষণার তথ্য জানুন

১৪

ব্রাজিলের তারকা ফুটবলারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

১৫

নুরের সবশেষ অবস্থা জানালেন চিকিৎসক

১৬

নুরের খোঁজ নিলেন রাষ্ট্রপতি

১৭

গ্রামবাংলার জনপ্রিয় হাডুডু খেলা দেখতে মানুষের ঢল

১৮

দুপক্ষের সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ নিহত ২

১৯

সমালোচনার শিকার পাকিস্তানি অভিনেত্রী

২০
X