কুমিল্লা সিটি উপনির্বাচনে প্রতীক পাওয়ার পর দিনই প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করেন প্রার্থীরা। নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন তারা। জানান, নির্বাচিত হলে এলাকার জন্য কী কী করবেন। গতকাল শনিবার সকালে সাবেক মেয়র বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু (ঘড়ি প্রতীক) নগরীর রাজগঞ্জ এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। পরে কান্দিরপাড়, চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। আর কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনা (বাস প্রতীক) নগরীর রেসকোর্স এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন।
গণসংযোগকালে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘ভালো-খারাপ মানুষ বিবেচনা করবে। আমি মানুষের জন্য কাজ করলে, মানুষ আমাকে ভোট দেবে। না করলে দেবে না। আমি চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। সুষ্ঠু নির্বাচনে যিনিই মেয়র হোন, আমার কোনো আপত্তি থাকবে না। আমি নগরবাসীর পরীক্ষিত সেবক, তারা আমাকেই ভোট দেবে।’
আরেক প্রার্থী তাহসিন বাহার সূচনা বলেন, ‘আমার বাবা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এ এলাকার চারবারের সংসদ সদস্য। তিনি এ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আমিও বাবার সঙ্গে সব এলাকায় বিচরণ করেছি। এলাকার সব মানুষ আমার পরিচিত। আমি যেখানেই গণসংযোগে যাচ্ছি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’
এদিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর সিডিপ্যাথ হসপিটাল এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। পরে কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ ও চকবাজার এলাকায় যান তিনি। এ সময় কায়সার বলেন, ‘আমার প্রচারে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই বোঝা যাচ্ছে মানুষ পরিবর্তন চায়। বিগত সময়ে সিটির সাইনবোর্ড নামে শুধু পরিবর্তন হয়েছে। যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা সিটিতে কাজ বেচা-বিক্রির হাট বসিয়েছেন, কোনো উন্নয়ন করেননি।’
অন্যদিকে আরেক প্রার্থী নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম ঢাকায় অবস্থান করায় গতকাল কোনো গণসংযোগে অংশ নিতে পারেননি।
কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে আগামী ৯ মার্চ শুধু মেয়র পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে তৎকালীন মেয়র বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কুকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মেয়র রিফাতের মৃত্যুতে পদটি আবার শূন্য হয়। সে অনুযায়ী মেয়র পদে উপনির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।