রাজধানীর ওয়ারী থানার অভয়দাস লেন এলাকার একটি বাড়ি থেকে ৩৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও ডলার চুরি করে মোবারক ওরফে মগা ও তার সহযোগীরা। পরে স্বর্ণালংকার বিক্রি করে পুরান ঢাকার তাঁতিবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী শেখ ফরিদের কাছে। সেই টাকায় মোবারক তার বান্ধবীকে কিনে দেয় দামি মোবাইল ফোন, বন্ধুদের নিয়ে যায় কক্সবাজারে। সেখানে মাদকের ধোঁয়ায় ওড়ায় সেই টাকা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। একে একে গ্রেপ্তার করা হয় চোর চক্রের চার সদস্য ও চোরাই স্বর্ণ কেনা ব্যবসায়ীকে। এ ছাড়া ধানমন্ডি এলাকায় চুরির ঘটনা তদন্তে নেমে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও টাকা উদ্ধার করা হয়।
ডিবি বলছে, সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সিঁদেল চুরির ঘটনা তদন্তের অভিযানে ৬১ ভরি স্বর্ণ এবং প্রায় ৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা করা হয়। ডিএমপির ১০টি বিভাগ তাদের বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করে।
ওয়ারী ও রমনার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মোবারক ওরফে মগা, রাকিব মিয়া, শেখ ফরিদ, মো. ডালিম ও সাদ্দাম হোসেন বনি। অন্য অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে গিয়াস উদ্দিন নামে একজন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ওয়ারী থানার অভয়দাস লেনের একটি বাসায় বেডরুমের গ্রিল কেটে ৩৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩০০ ডলার চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্তে নেমে চোর চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী মোবারক ওরফে মগাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাকিব মিয়াকে ৪০ হাজার টাকাসহ নেত্রকোনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজনই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
আদালতে আসামিরা জানায়, চোরাই করা স্বর্ণ মোবারক ও রাকিব স্বর্ণ ব্যবসায়ী শেখ ফরিদের কাছে ৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকায় বিক্রি করে।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন আরও বলেন, শেখ ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে চোরাই স্বর্ণ কেনা-বেচা করে আসছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে ফরিদ জানান, যাত্রাবাড়ীর কাজলায় তার বাসায় গলিত ২০ ভরি ওজনের স্বর্ণের পাত রয়েছে। পরে সেটি উদ্ধার করা হয়। ধানমন্ডি থানার ১১ নম্বর রোড এলাকার বাসায় আলমারির ড্রয়ার ভেঙে ৪১ ভরি স্বর্ণ ও ৩৭ লাখ টাকা চুরি করা হয়। এ ঘটনার মামলায় কিশোরগঞ্জ থেকে গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার তথ্যে গিয়াসের বাড়িতে মাটির নিচে পুঁতে রাখা ৪১ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।