দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল নাজিয়া হক অর্ষা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যা নিয়ে শুরু থেকেই সোচ্চার ছিলেন তিনি। প্রথম থেকেই কথা বলেছেন মানুষের স্বাধীনতা নিয়ে। এবার কালবেলার সঙ্গে আলাপকালে দেশের সিনেমার স্বাধীনতা নিয়ে নিজের মতামত জানান অর্ষা।
শুরুতেই অর্ষা বলেন, ‘কোনো হত্যাই আমাদের কাম্য নয়। কারণ প্রতিটি মানুষেরই বাঁচার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার কেড়ে নেওয়া কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে হ্যাঁ, এটাও আবার মানতে হবে—পৃথিবীর সব ধরনের স্বাধীনতার গল্পে এমন কিছু থাকে। মানুষ লুটপাট করবে, জীবন যাবে। এর মধ্য থেকে যেহেতু আমরা নতুনভাবে আবারও স্বাধীন হয়েছি, সেহেতু এটি অবশ্যই ভালো দিক। এখন ধরে রাখাই হচ্ছে প্রধান চ্যালেঞ্জ।’
এ সময় সিনেমার স্বাধীনতা নিয়েও কথা বলেন এ অভিনেত্রী। বলেন, ‘আমি সবসময়ই স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। সে ক্ষেত্রে আমি একজন শিল্পী হিসেবে চাই, সিনেমার ক্ষেত্রে সেন্সর বোর্ড না থাকুক। একটা টিম থাকতে পারে, যারা সিনেমার প্রচার, পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করবে। সিনেমা আসলে স্বাধীন হওয়া উচিত। আমাদের দেশের সিনেমা রাজনীতি নিয়ে কথা বলবে, দুর্নীতি নিয়ে কথা বলবে, দেশের অগ্রগতি নিয়ে, কালচার নিয়ে কথা বলবে। আমি এটাই চাই। কারণ সিনেমার মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করব এটাই স্বাভাবিক।’
শনিবার ছাত্র হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত ‘সৃষ্টির স্বাধীনতায় সাহসী বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমাবেশে এ দাবি জানান অর্ষা।
এ সমাবেশে থিয়েটারকর্মী, আলোকচিত্রী সমাজ, দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ ও গেটআপ স্ট্যান্ডআপের (বাংলাদেশ সংগীতশিল্পী সমাজ) তরফ থেকে এসব দাবি এবং কিছু প্রস্তাব রাখা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে।