লিলো অ্যান্ড স্টিচের পরপরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে ‘হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন’। মুক্তির পরই বিশ্বজুড়ে বক্স অফিসে মুভিটির বিস্ফোরক সূচনা। ঘরোয়া বক্স অফিসেও ছাপিয়ে গেছে সব প্রত্যাশা। ফ্র্যাঞ্চাইজির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উদ্বোধনী আয়কারী মুভির তকমা এখন এই রূপকথার ড্রাগন কাহিনির দখলে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ শুধু শুরুর সিঁড়ি, সামনে অপেক্ষা করছে এক পরিপূর্ণ ব্লকবাস্টার ইতিহাস।
মূল অ্যানিমেটেড সিরিজের ভিত্তিতে নির্মিত এ লাইভ-অ্যাকশন রিমেকটির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ম্যাসন থেমস (হিকআপ) ও নিকো পার্কার (অ্যাস্ট্রিড)। আর পরিচালনায় আছেন ‘ড্রাগন’ বিশ্ব তৈরির কারিগর ডিন ডিব্লোইস নিজেই। তার জাদুকরী পরিচালনায় নতুন রূপে হাজির হয়েছে আমাদের প্রিয় ড্রাগন জগৎ।
তিন দিনের উদ্বোধনী সপ্তাহান্তে উত্তর আমেরিকায় সিনেমাটি আয় করেছে চমকপ্রদ ৮৩.৭ মিলিয়ন ডলার, যা ইন্ডাস্ট্রির পূর্বাভাস করা ৬৫-৭৫ মিলিয়ন ডলারের সীমা অনেকটাই ছাড়িয়ে গেছে। এর বাইরে আন্তর্জাতিক ৬৭টি বাজারে প্রিভিউসহ আয় করেছে ১১৪.১ মিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহান্তেই গ্লোবাল আয় দাঁড়িয়েছে ১৯৭.৮ মিলিয়ন ডলার!
এতে করে ‘হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন’ শুধু নিজের সিরিজের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী আয়কারী মুভিই নয়, বরং পোস্ট-প্যান্ডেমিক যুগে ইউনিভার্সাল স্টুডিওর তৃতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং ফিল্ম হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। চমক এখনেই শেষ নয়, এই সিনেমা ছাড়িয়ে গেছে ক্রিস্টোফার নোলানের অস্কারজয়ী ‘ওপেনহাইমারে’র উদ্বোধনী আয়কেও।
প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এ রিমেক এরই মধ্যে সেই খরচ তুলেও নিয়েছে এবং অতিরিক্ত আয়ের পথে ছুটছে এখন। তবে ট্রেড বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লাভের মুখ দেখতে হলে সিনেমাটিকে বিশ্বব্যাপী আয় করতে হবে ৩৫০ থেকে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত।
বছরের অন্যতম আলোচিত মুভি হিসেবে ‘অ্যা মাইনক্রাফট মুভি’, ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ ও ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’-এর পরেই অবস্থান করছে ‘হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন’ সিনেমাটি।
সব মিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে, আবারও জেগে উঠেছে ড্রাগন। আর এ আগুনের ঝড় থামার আপাতত কোনো লক্ষণ নেই।
মন্তব্য করুন