

অডিটোরিয়াম জুড়ে ছিমছাম নীরবতা। লাল পর্দার আড়ালে তখন তৈরি হচ্ছিল এক অচেনা যাত্রার প্রস্তুতি। হালকা আলো, ট্রেনের ছুটে চলার শব্দ, ফিসফিস কথার শব্দ আর ধীরে ধীরে সরে যাওয়া পর্দা—সব মিলিয়ে দর্শক বুঝে যান, এটি শুধু সিনেমা নয়, এক অনুভবের সফর। মঞ্চে ট্রেনের আদলে সাজানো সেটে পা রাখতে যেন সবাই নিজেই হয়ে ওঠেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’-এর যাত্রী। হ্যাঁ বলছি নির্মাতা তানিম নূরের পরিচালনায় আসন্ন সিনেমার কথা। আর এ সিনেমায় রয়েছে এক ঝাঁক তারকাদের যাত্রাপথের কাহিনি।
সিনেমার গল্পের যাত্রায় পর্দায় দর্শকরা দেখতে পাবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, জাকিয়া বারী মম, আজমেরী হক বাঁধন, ইন্তেখাব দিনার, শ্যামল মাওলা, সাবিলা নূর, শরীফুল রাজসহ আরও অনেক নতুন তারকাকে। একই ট্রেনে বহু মানুষের জীবনের অভিজ্ঞতায় শুরু হতে যাচ্ছে ‘বনলতা এক্সপ্রেস’-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা।
দেশের জনপ্রিয় প্রয়াত লেখক হুমায়ুন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মিত হতে চলেছে এ চলচ্চিত্রটি।
গল্পটি এগিয়ে যাবে ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা যখন অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় সেটির ওপর ভিত্তি করে। তবে ছবিতে থাকছে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর।
সিনেমাটি নিয়ে ভার্সেটাইল অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, “চরিত্রের প্রেমে পড়েই এ সিনেমায় যুক্ত হওয়া। আর তানিম নূরের প্রেমে পড়ার একটা বিষয় আছে যে, সে দুঃখের কথাও হাসতে হাসতে বলতে পারে। তার হাসার অদ্ভুত ক্ষমতা আছে এবং তার পড়াশোনার জায়গাটা আমার নিজের ব্যক্তিগতভাবে খুবই ভালো লাগে। এ ছাড়া তার সঙ্গে কাজ করার আরেকটা বড় অনুপ্রেরণা ছিল ‘উৎসব’। এদিকে সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যারা আছেন, তারা আমার অনেকদিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।”
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন, “‘তাকদীর’ ও ‘কারাগার’ করার আগে থেকে আমার তানিমের সঙ্গে পরিচয় হয়। ওর কাজ আমার ভালো লাগে। এ ছাড়া তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ুন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এ বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।”
সিনেমা নিয়ে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেন, “এর আগে হুমায়ুন আহমেদের ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমাটি আমি করতে পারিনি, সে সময় আমার পরীক্ষা থাকায়। এরপর তানিম নূর যখন এ চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ, আমাকে নাকি সবসময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ুন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তার গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।”
মন্তব্য করুন