

ঢাকা-৬ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, নির্বাচিত হই বা না হই পুরান ঢাকা ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে তিনি কাজ করবেন। একইসঙ্গে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার জন্যও কাজ করে যাবেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ারী এলাকার গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মন্দিরে এক উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই পুরান ঢাকা ও ঢাকা-৬ আসনের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, যা সাধারণ জনগণের পাশাপাশি উপাসনালয়গুলোতেও চরম ভোগান্তি ডেকে আনে।
মন্দির এলাকার ড্রেনেজ সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সমস্যার সমাধান বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শ্মশানঘাট ও কবরস্থানে সৎকার ও দাফন-কাফনের ওপর যে কর আরোপ করা হয়েছে, বিএনপি তার বিরোধিতা করে আসছে। নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য বা ভবিষ্যতে সিটি করপোরেশনের মেয়র হলে এসব সরকারি কর প্রত্যাহার করে শ্মশানঘাট ও কবরস্থানগুলোকে করমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের ন্যায্য দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যে কোনো যৌক্তিক দাবি সংসদে উত্থাপন করা তার দায়িত্ব। তবে শুধু ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে নয়, এলাকার যে কোনো নাগরিক সমস্যা জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার অঙ্গীকার করেন তিনি।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারাও দয়া করে কষ্ট করে হলেও ওই দিন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ব্যালটের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের প্রকৃত আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবেন। আপনাদের যাকে মনে হবে যে দেশের উন্নয়ন করবে আপনাদের পাশে দাঁড়াবে তাকে ভোট দিয়েন। কিন্তু ভোট দিতে যাবেন। তাহলে যে সরকারই গঠিত হোক, যে দলের নেতৃত্বেই হোক না কেন, একটি সুষ্ঠু, সবল ও শক্তিশালী সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। যদি একটি শক্তিশালী ও নির্বাচিত সংসদ গড়ে ওঠে, তবে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সমস্যার সমাধান সেই সংসদেই সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।
ইশরাক হোসেন বলেন, বিএনপি একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়। অতীতে ও বর্তমানে কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার প্রশ্নে জনগণের ঐক্যে বিশ্বাসী।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন, সে জন্য প্রশাসনকে সহযোগিতার মাধ্যমে বিএনপির নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। তিনি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রশ্নবিদ্ধহীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি তার পিতা প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকার আদর্শ অনুসরণের কথা উল্লেখ করে বলেন, তার কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একটি অসাম্প্রদায়িক, আত্মমর্যাদাশীল ও শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়তে তিনি কাজ করবেন। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য উপস্থিত সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ারী থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী লিয়াকত আলী, ৪১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী ফরহাদ হোসেন মুকুল, সাধারণ সম্পাদক হাজী রাহাত, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইব্রাহিম ও মো. মহসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাহাত ছোটসহ দেবাশীষ বণিক, কল্লোল হাজরা, সমীর মজুমদার, দেবব্রত রায়, অমল কৃষ্ণ সাহা, রবিন বসু, সুজিত কুমার বণিক প্রমুখ।
মন্তব্য করুন