কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘নিয়মতান্ত্রিকভাবে সবাই একসঙ্গে থাকতেই পুঁজিবাজারে আসা’

বোরাক রিয়েল এস্টেটের এমডি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহা. নূর আলী। ছবি : কালবেলা
বোরাক রিয়েল এস্টেটের এমডি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহা. নূর আলী। ছবি : কালবেলা

রাজধানীর বনানী হোটেল শেরাটনে বুধবার (১৮ অক্টোবর) বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (বুক বিল্ডিং পদ্ধতি) মূল্য নির্ধারণের লক্ষ্যে রোডশো অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহা. নূর আলী, কোম্পানির পরিচালকগণ এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী মো. সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমানসহ পুঁজিবাজারের অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রসঙ্গে মোহা. নূর আলী বলেন, ‘এতদিন আমার পরিবারের সদস্যরা প্রতিষ্ঠানটির এককভাবে মালিক ছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপনাদের তথা- স্টেক হোল্ডারদের সম্পৃক্ত করার। যখন আমি থাকব না! তখন আমাদের সঙ্গে আপনারাও এর মালিকানায় থাকবেন। এককভাবে না থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সবাই একসাথে থাকব।’

এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনের বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বর্তমান অবস্থানে পৌঁছানোর গল্প শুনিয়েছেন। বোরাকের আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা বোরাকের অংশীদার হবেন, তারা কখনো ঠকবেন না। আমি এবং আমার পরিবার কখনো কাউকে ঠকিয়ে কাজ করি না।’

আইপিও সম্পর্কে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোম্পানির চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নে ও আংশিক ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যে তথা- একটি সাত তারকা মানের ও দুটি পাঁচ তারকা মানের হোটেল নির্মাণের জন্য যথাক্রমে ২০০ কোটি ও ১০০ কোটি এবং ঋণ পরিশোধের জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রয়োজন। যেজন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে বাজার থেকে ৪০০ কোটি টাকা পূঁজি উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইপিওর পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে পরিপালন করা হচ্ছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসির) সব নিয়ম যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে। এখন অংশীজন (স্টেক হোল্ডারের) পরামর্শ ও দর নির্ধারণ হলে তাও নিয়মতান্ত্রিকভাবে কমিশনে জমা দেওয়া হবে।

নিয়মানুযায়ী কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য প্রিমিয়াম নিতে চাইলে দুটি পদ্ধতি আছে। একটি হলো ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতি, অপরটি বুক বিল্ডিং। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানির শেয়ারের দর নির্ধারণ করেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। তাদের নির্ধারিত মূল্যে সর্বনিম্ন দরের ছাড়কৃত দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পেয়ে থাকেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যে দরে শেয়ার পান, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তার থেকে ১০ শতাংশ কমে পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে নিলাম বা বিডিং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ারের দর কত হবে তা নির্ধারণ করা হয়। এতে অংশ নেয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বা যোগ্য বিনিয়োগকারীরা। তবে এ পদ্ধতিতেও কারসাজি হয়ে থাকে। আর কারসাজি ঠেকাতে যোগ্য বিনিয়োগকারীর জন্য কিছু শর্ত আরও রয়েছে বিএসইসির।

কোম্পানি সচিব রিয়াদ হোসেন জানান, ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি ২৮ আগস্ট-২০১০ তারিখে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়। বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের প্রধান ব্যবসা হলো বিলাসবহুল আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ, বিক্রয় ও ভাড়া এবং হোটেল ব্যবসা। বাংলাদেশের অন্যতম বড় রিয়েল এস্টেট কোম্পানি বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেড রাজধানীর গুলশানে ২৪ তলা হোটেল ভবন দি ওয়েস্টিন ঢাকা, পান্থপথে ৩টি বেজমেন্টসহ ২০তলা ইন্টেলিজেন্ট কমার্শিয়াল ভবন ইউনিক ট্রেড সেন্টার, ইস্কাটনে ২০ তলা কমার্শিয়াল কাম রেসিডেনসিয়াল ভবন রেড ক্রিসেন্ট বোরাক টাওয়ার, ইস্কাটনে ২০ তলা কমার্শিয়াল কাম রেসিডেনসিয়াল ভবন ইউনিক হাইটস, কারওয়ান বাজারে ৪টি বেজমেন্টসহ কমার্শিয়াল ভবন বোরাক জহির টাওয়ার, বনানীতে অবস্থিত ৫টি বেজমেন্টসহ ২০ তলা কমার্শিয়াল ভবন বোরাক মেহনূরসহ অনেক অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির চলমান নিমার্ণাধীন প্রকল্পগুলোর মধ্যে গুলশানে অবস্থিত ৬টি বেজমেন্টসহ ২১ তলা কমার্শিয়াল ভবন বোরাক এক্রোপলিশ যেখানে হোটেল তাঁজ ও হোটেল ভিভান্তা নামে দুটি পাঁচ তারকা হোটেল এবং ৮টি বেজমেন্টসহ ২৪ তলা কমার্শিয়াল ভবন সাউথ পার্ক যেখানে প্রস্তাবিত ৭ তারকা হোটেল নির্মাণাধীন। এ ছাড়াও রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন পাতিরাতে এবং গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে এর দুটি রেডিমিক্স কংক্রিট ইউনিট আছে।

প্রস্তাবিত আইপিওটির ইস্যু ব্যবস্থাপনা করছে বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও স্বদেশ ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, রেজিস্ট্রার টু দি ইস্যু হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড। এ ছাড়া কোম্পানির বিধিবদ্ধ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস এবং স্থায়ী সম্পদের মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন হাওলাদার ইউনুস অ্যান্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সারা দেশে বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস

ভারতের ভিসা নিয়ে যে তথ্য দিলেন হাইকমিশনার

হাজত থেকে পালানো সেই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

‘ইউনিভার্সেল মেডিকেলে ফ্রি হার্ট ক্যাম্প’ সম্পন্ন

ক্যাম্পাসে চাকসু নির্বাচনের উন্মাদনা, ১ মাস ধরে হাসপাতালে ইমতিয়াজ-মামুন

ঘরের চারদিকে দুর্গন্ধ, দরজা খুলতেই দেখা গেল মর্মান্তিক দৃশ্য

ইসলামী ব্যাংকের ২০০ কর্মী ছাঁটাই, ৪৯৭১ জনকে ওএসডি

করোনা পরবর্তী সময়ে যুবকদের মধ্যে হৃদরোগ বাড়ছে

হংকং ম্যাচ নিয়ে যা বললেন জামাল

তারেক রহমানের পক্ষে ৪৫টি মণ্ডপে সহায়তা দিলেন সেলিম

১০

ব্র্যাক ব্যাংকের নীলফামারী অঞ্চলে এজেন্ট মিট আয়োজন

১১

স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ, মঙ্গলবার থেকে কার্যকর

১২

প্রবাসীর দেওয়া পাথরে নতুন পথ নোয়াপাড়ার মানুষের

১৩

ভারতে ঢুকতে বিদেশিদের জন্য নতুন নিয়ম

১৪

স্মারক রৌপ্যমুদ্রার নতুন দাম নির্ধারণ

১৫

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সচেতন হওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

১৬

যে প্রক্রিয়ায় বাড়বে সরকারি বেতন

১৭

মেহজাবীনের ‘সাবা’ নিয়ে অনুভূতি জানালেন রাহিতুল ইসলাম

১৮

পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, এসআই গ্রেপ্তার

১৯

পিআর নিয়ে নির্বাচনকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : নীরব

২০
X