

রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের কাছে ড্রাম থেকে উদ্ধার রংপুরের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের ২৬ টুকরা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির বোন আনজিরা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় আশরাফুলের বন্ধু জরেজ মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও অন্যান্য তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ বলছে, হত্যার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্তের অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এজাহারে আনজিরা বেগম বলেন, তার বড় ভাই আশরাফুল হক দিনাজপুরের হিলি বন্দর থেকে সারা দেশে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আলুসহ কাঁচামাল সরবরাহ করতেন। গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে আসামি জরেজকে নিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। এরপর থেকে আশরাফুলের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। স্বজনদের সন্দেহ, আসামি জরেজ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামিদের সহযোগিতায় গত ১১ নভেম্বর রাত থেকে ১৩ নভেম্বর রাতের মধ্যে যেকোনো সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আশরাফুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ ২৬ খণ্ড করে গুম করার উদ্দেশ্যে দুটি ড্রামে ভরে রেখে অজ্ঞাত স্থানে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় ঈদগাহের সামনে থেকে দুটি নীল রঙের ড্রাম থেকে আশরাফুলের ২৬ টুকরা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন