দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল বাতিল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া-ফারুক)। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর কালভার্ট রোড থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে কিছুক্ষণ পল্টন মোড় অবরোধ করে রাখেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হাসান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ইমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। যারা ইমানের এই পরীক্ষায় পাস করবে তারা ইতিহাস হবে। আর যারা সরকারের সাথে আঁতাত করবে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। এই সরকার এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে এমপি মন্ত্রিত্বের অফার দিচ্ছে নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, গণঅধিকার পরিষদ শেখ হাসিনার অধীনে কোনো পাতানো নির্বাচনে যাবে না। যতই চাপ আসুক, যতই নির্যাতন আসুক আমরা প্রয়োজনে কেরানীগঞ্জ কারাগারে যাব, তবুও এই সরকারের পাতানো ফাঁদে পা দিব না। সরকার এখন লাগামছাড়া পাগলা ঘোরার মতন আচরণ শুরু করেছে। তারা যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
ফারুক হাসান আরও বলেন, সরকার আমাদের ভয় দেখাচ্ছে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য। আমি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাকে বলেছি, কারাগারে যাব তবুও অবৈধ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কেনা-বেচা শুরু করেছে। বর্তমান সরকার হলেন নব্য রাজাকারের সরকার। যারা এ সরকারে অধীনে নির্বাচনে যাবেন তারাও নব্য রাজাকার। আমরা গণঅধিকার পরিষদ এই নব্য-রাজাকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিব না।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, আমরা আশ্চর্য হচ্ছি বিরোধী দল থেকে অনেকেই এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাচ্ছে। সরকার গণতান্ত্রিক একটা ফ্লেভার দেখিয়ে নির্বাচন আয়োজ করতে যাচ্ছে। অবশ্য কিছু পথভ্রষ্ট লোক সরকার বিরোধী আন্দলন থেকে বের হয়ে যাওয়াতে আমরা ধীরে ধীরে নিশ্চিত হচ্ছি কারা সত্যিকার অর্থে আন্দোলন করছে। আন্দোলন থেকে বিষাক্ত রক্ত বের হয়ে যাওয়ায় আরও শক্তিশালী আন্দোলন করা সম্ভব হবে।
গণঅধিকার পরিষদের নেতা মোজাম্মেল মিয়াজির সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদ নেতা কর্নেল (অব.) মিয়া মসিউজ্জামান, মাহবুব জনি, অ্যাডভোকেট শিরিন আকতার, ইসমাইল আহমেদ বন্ধন, জিয়াউর রহমান, আরিফ বিল্লাহ, মাহবুবুল হক শামীম, ইমাম উদ্দিন, আব্দুল্লাহ, ফায়সাল, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসীর মাহমুদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন