শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাদু, অ্যাক্রোবেটিক, নৃত্য ও সংগীতের বৈচিত্র্যময় পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হলো গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় পরিবর্তিত স্থান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৪ দিনব্যাপী আয়োজনের প্রথম দিনের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরো আয়োজনের ভাবনা ও পরিকল্পনায় লিয়াকত আলী লাকী, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
শুরুতেই সমবেত সুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু-সংগীতদল। এরপর পরিবেশিত হয় যন্ত্রসংগীত, দেশাত্মবোধক গানের সুর সংমিশ্রণে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যন্ত্রশিল্পীবৃন্দ।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। বক্তব্য দেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চলমান বহুমুখী কার্যক্রমের প্রশংসা করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা দেখে যেতে পারেননি, তিনি বলতেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ প্রয়োজন। আমরা সকল শিল্পীকে নিয়ে গণজাগরণ তৈরি করছি। এই গণজাগরণ কোনো দিন থামবে না। আমরা দায়বদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে। আমাদের পূর্বপুরুষরা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন করেছে, মুক্তিযুদ্ধ করেছে, গণজাগরণের আন্দোলনও করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই গণজাগরণের আন্দোলন আমরা করছি সারা দেশে সব শিল্পীকে নিয়ে’।
অ্যাক্রোবেটিক শো প্রদর্শন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষিত অ্যাক্রোবেটিক দল। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে প্রজন্ম নৃত্যদল। নৃত্য পরিচালনা করেন মোহাম্মদ হানিফ, পরিবেশিত হয় ‘আলোকের ঝর্ণাধারায়’। এরপর সমবেত সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রতিশ্রুতিশীল সংগীত দল সঞ্চারী ‘সংকোচের বিহ্বলতা’ ও ‘জয় বাংলা জয় বাংলা বাংলা বইলা রে’।
মন্তব্য করুন