কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫২ এএম
অনলাইন সংস্করণ
ভিড় ফুটপাত ও অস্থায়ী দোকানে

রমজানের শেষে শুরু নিম্নবিত্তের কেনাকাটা

গুলিস্তান ফুটপাত। ছবি : কাজল হাজরা
গুলিস্তান ফুটপাত। ছবি : কাজল হাজরা

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ধনী-দরিদ্র সবাই যে যার মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঈদ সামনে রেখে ফুটপাতে জমে উঠেছে কেনাকাটা। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে নিম্ন আয়ের লোকজনও তুলনামূলক অল্প দামে পছন্দের পোশাক, গহনা, জুতা কিনতে শেষ মুহূর্তে ভিড় করছেন ফুটপাত ও অস্থায়ী দোকানগুলোয়।

সোমবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর গুলিস্তান, নিউমার্কেট, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার, গ্রিন রোড, ফার্মগেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ফুটপাতে অনেক দোকান সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। অস্থায়ী দোকানগুলোয় কেউ চৌকি পেতে, কেউ বা ভ্যানের ওপর, কেউ হ্যাঙারে ঝুলিয়ে, আবার কেউ চাদর বিছিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাকের সঙ্গে প্রসাধনীসামগ্রী সাজিয়ে রেখেছেন। নিউমার্কেটের সামনের ফুটপাতে দোকান সাজিয়ে বসা আব্বাস বলেন, কিছুদিন আগে বেচা-বিক্রি কম থাকলেও এখন বেশ বেড়েছে। ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে কারও চেষ্টার ত্রুটি নেই।

ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ দোকানের ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি অনেক মধ্যবিত্ত লোকজনও তাদের দোকানে কেনাকাটা করতে আসছেন। কম বাজেটের মধ্যে ক্রেতাদের পছন্দের বাহারি নকশা ও রঙের সব পোশাকের সংগ্রহ রয়েছে দোকানগুলোয়। ক্রেতারা বলছেন, শপিংমলে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি, তাই ফুটপাত থেকেই কিনছেন তারা।

নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতে বসা ক্ষুদ্র চা ব্যবসায়ী জামিল জানান, তার পরিবারে ৫ সদস্য রয়েছে। ভাড়া বাড়িতে থেকে চা-সিগারেট-রুটি-কলা বিক্রির আয় দিয়ে চলে সংসার। ঈদে মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে ফুটপাত থেকে জামা কেনা হয়। মার্কেটে জিনিসের যে দাম, তাই ফুটপাতই একমাত্র ভরসা।

নিম্নবিত্ত মানুষের ঈদবাজারের শেষ ভরসা ফুটপাত -বললেন ইডেন মহিলা কলেজের সামনে ফুচকা বিক্রেতা আলিম। তিনি আরও বলেন, আমাদের সামর্থ্য নেই মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটা করার। তবে ঈদে তো সবাইকে ভালো-মন্দ পরতে হয়, তাই নিজেদের কথা বাদ দিলেও সন্তানদের জন্য ঈদবাজার করতে হয়।

গ্রিন রোডে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের সামনের ফুটপাত থেকে জুতা কিনেছেন বেসরকারি ব্যাংকের অফিস সহকারী বাতেন মিয়া। তিনি বলেন, ফুটপাত থেকে স্ত্রীর জন্য এক জোড়া জুতা কিনলাম সামান্য বেতন ও বোনাসের টাকা থেকে।

গ্রিন রোডে ফুটপাতে ব্যবসা করেন মো. হাশেম। তিনি বলেন, এ বছর ঈদের আগে সব জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, কিন্তু আমাদের আয় বাড়েনি। আগে একটি শার্টে লাভ করতে পারতাম ২০-৫০ টাকা। এ বছর তা ২০-৩০ টাকায় নেমেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এভারেস্ট উপত্যকায় শতাধিক পর্যটক আটকা, উদ্ধার অভিযান চলছে

জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসের আয়োজনে বক্তারা / জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সর্বজনীন করতে আইন সংস্কার অপরিহার্য

তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক

ভর্তার স্বাদ বাড়াতে জানুন ছোট্ট কিন্তু দারুণ কিছু টিপস

ট্রেনে কুবি শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করায় ৫ যুবক আটক

যাই দেখছি সব নতুন লাগছে, বিসিবি নির্বাচনে ভোট দিয়ে আমিনুল

ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ঐক্যকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখি : নিলোফার মনি

নারী সহকর্মীদের নিয়ে বিস্ফোরক দাবি রুনা খানের

‘উপসর্গ থাকলেও নারীর মৃত্যু অ্যানথ্রাক্সে নয়’

ওমরাহ নিয়ে সুখবর দিল সৌদি আরব

১০

জামায়াত আমিরের সঙ্গে কসোভোর রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১১

আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

১২

দুর্ঘটনায় মা হারানো শিশুটির কান্না থামাবে কে ‎

১৩

দাউদকান্দি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সুমন গ্রেপ্তার

১৪

বাংলাদেশে যে সরকারই আসুক, তার সঙ্গে কাজ করবে ভারত: বিক্রম মিশ্রি

১৫

সৈকতে ভেসে এলো যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ

১৬

গুলতেকিনের পর এবার হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে শাওনের পোস্ট

১৭

বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় চাকরি হারালেন ব্রাজিল কোচ

১৮

সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

১৯

ইসরায়েলের ওপর নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বাজল সাইরেন

২০
X