

চট্টগ্রামের হামজারবাগে সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি এরশাদ উল্লাহকে দেখতে যান। এ সময় তার সঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনসহ আরও অনেককে দেখা যায়।
এদিকে নির্বাচনী গণসংযোগে গুলি ও হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি এবং চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে দলীয় মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন।
আজ এক বিবৃতিতে তিনি এই নিন্দা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সরওয়ার হোসেন বাবলা একজন সন্ত্রাসী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তাকে লক্ষ্য করেই প্রতিপক্ষ দুর্বৃত্তরা গুলি চালায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত নগর বিএনপি আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
অধ্যক্ষ নুরুল আমিন নিহত ব্যক্তির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন, শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং আহত বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন উদ্বেগজনক আকার ধারণ করছে। প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে মানুষের জীবন বিপন্ন করা সভ্য সমাজে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেশের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।
তিনি সরকার ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান—অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হামলার সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।
মন্তব্য করুন