বঙ্গোপসাগরে ১৩ জন মাঝি-মাল্লাসহ চার দিন ধরে ‘এফবি মা জননী’ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। গত ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের আনোয়ারার উপকূল রায়পুর ইউনিয়নের পূর্বগহিরা থেকে ট্রলারটি মাছ ধরার উদ্দেশে বঙ্গোপসাগরে যায়।
নিখোঁজ ট্রলারটি রায়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াবইদুল হক মুন্না ও বটতলী ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের যৌথ মালিকানাধীন বলে জানা গেছে। নিখোঁজ মাঝি-মাল্লারা হলেন- স্থানীয় রায়পুর গ্রামের মো. মোরশেদ(২২), মো. রাশেদ (৩০),মো. ছালাম(৪০), জালাল উদ্দিন(৩০), আলী হোসেন(৩৫), মো. মান্নান(৩০), ট্রলারের মাঝি সরেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা কালা মিয়া(৪০)সহ ১৩ জন।
ট্রলারের মালিক ওবাইদুল হক মুন্না বলেন, গত ১ জানুয়ারি উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পূর্ব গহিরা থেকে ১৩ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে মাছ ধরার জন্য সাগরে যায় ট্রলারটি। দুইদিন পর ট্রলারের মাঝি কালু মিয়া মুঠোফোনে জানায় তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে তারা বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে সাগরে ভাসছে। এর পর আমরা তাদের উদ্ধারে অন্য একটি ট্রলার পাঠালেও মাঝি-মাল্লাদের সঙ্গে মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিষয়টি আমি ৯৯৯ ফোন দিয়ে নৌ-বাহিনীকে অবহিত করেছি।
এদিকে নিখোঁজ জেলে মো. মোরশেদের মায়ের বিলাপ থামছে না, মোরশেদ দুই সপ্তাহ আগে বিবাহ করে পরিবারের ভরণপোষণের জন্য সাগরে যায়। মোরশেদের খোঁজে তার বাবা মফিজুর রহমান বিকল্প ট্রলার নিয়ে সাগরে গেলেও এখনো ফেরেনি এবং নিখোঁজ ট্রলারের খোঁজও মেলেনি বলে জানায় মোরশেদের মা ফেরদৌস বেগম (৫০)।
গহিরা নৌ-পুলিশের ইনর্চাজ মো. ফারুক বলেন, ট্রলার নিখোঁজের বিষয়টা আমি শুনছি তবে কেউ লিখিত ভাবে জানায়নি। আমি কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশনকে অবহিত করেছি। আমরা নির্বাচনী দায়িত্বে ছিলাম।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল আহমদ বলেন, ট্রলার নিখোঁজের বিষয়ে আমাদের কেউ অবগত করেনি।
মন্তব্য করুন