চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মুমূর্ষু রোগীরা দীর্ঘদিন ধরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) অভাবে ভুগছেন। ভোগান্তি কমাতে এবার আইসিইউ শয্যা দ্বিগুণেরও বেশি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আইসিইউ ইউনিটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৩০টি বেড। আগে হাসপাতালটিতে ২০ শয্যার আইসিইউ ছিল।
আগামী শনিবার (২৭ জানুয়ারি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আইসিইউ ওয়ার্ডটির উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) কালবেলাকে এসব তথ্য জানান চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান কালবেলাকে বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে আসছেন। এ দিন তিনি নতুন ৩০টি আইসিইউ শয্যা উদ্বোধন করবেন। ওয়ার্ডটিতে অবকাঠামোগত ও আইসিইউ শয্যা স্থাপনের কাজ শেষ। যন্ত্রপাতিগুলো ইনস্টলেশনের কাজ চলছে। চালু হলে আইসিইউর যে সংকট, তা অনেকটা কেটে যাবে।
স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ৩০ আইসিইউ রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেনারেল হাসপাতালে এবং ২০টি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সর্বশেষ ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৮টি ভেন্টিলেটরযুক্ত আইসিইউ পাঠানো হয়। যা ওই বছরের অক্টোবরেই স্থাপন করা হয়। এর আগে ২০০৫ সালে চমেক হাসপাতালের ৫ শয্যার আইসিইউ ১২ শয্যায় উন্নীত করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৬৩ বছরে মাত্র ২০টি আইসিইউ যুক্ত হয়েছে চমেক হাসপাতালে। চলতি বছর এ ৩০টি আইসিইউ চালু হলে মোট সংখ্যা হবে ৫০টি।
তবে ২ হাজার ২০০ শয্যার চমেক হাসপাতালে ৫০টি আইসিইউ শয্যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা। কারণ, চমেক হাসপাতালে ধারণক্ষমতার চেয়েও দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকে। দরিদ্র রোগীরা বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউর চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারেন না। পাশাপাশি সচ্ছল রোগীরাও বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে শয্যা পেতে হিমশিম খান।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে চমেক হাসপাতালের একজন চিকিৎসক কালবেলাকে বলেন, আইসিইউ শয্যার জন্য রোগীর স্বজনরা প্রতিদিনই বিভিন্নভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে আকুতি জানান। আমরা ম্যানেজ করার চেষ্টা করি। কিন্তু প্রায় আইসিইউ সংকটের কারণে রোগীদের ফিরিয়ে দিতে হয়।
মন্তব্য করুন