বগুড়ার আদমদীঘিতে জাতীয় শোক দিবস পালনের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় পতাকা অবমাননার অভিযোগ উঠেছে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী নাহিদ সুলতানা তৃপ্তির বিরুদ্ধে।
গত ১৫ আগস্ট সকালে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই পতাকা অবমাননার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদার।
অভিযোগে জানা গেছে, সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য তার পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলনের সময় চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি একই রশিতে দুটি পতাকা বাঁধার জন্য বলেন। তার কথা মোতাবেক তার পরিষদের কর্মচারীরা একই রশির সঙ্গে ওপরে কালো পতাকা এবং নিচে জাতীয় পতাকা বেঁধে ফেলেন। এ ক্ষেত্রে একটি মাত্র পতাকার স্ট্যান্ড ব্যবহার করা হয়। পতাকা টাঙানোর বিষয়টি সঠিক হচ্ছে না অনেক ইউপি সদস্য এমন দাবি করলেও চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি তার সিদ্ধান্তে অটল থেকে ত্রুটিপূণভাবে পতাকা উত্তোলন করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সন্ধ্যার পরও ওইভাবে পতাকা টাঙানো অবস্থায় দেখা গেছে।
পরিষদের কয়েকজন ইউপি সদস্য বলেন, গত বছর শোক দিবসে ড্রপ ব্যানার টাঙানোর সরকারি নির্দেশ থাকলেও চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি ড্রপ ব্যানার টাঙানোর নির্দেশ অমান্য করেন। নাহিদ সুলতানার এ ধরনের আচরণে খোদ সরকারি দলের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে গত বছর সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার পক্ষে এ ধরনের পতাকা আবমাননা করা সঠিক হয়নি তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এর যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।
বিষয়টি নিয়ে নাহিদ সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদার বলেন, বিষয়টি জানার পর চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন