নোয়াখালী সদরে জোড়া খুনে মেয়েকে হত্যা করতে চায়নি ‘ঘাতক’ আলতাফ। তবে মায়ের কারণে তাকেও খুন করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় এমন জবানবন্দি দিয়েছে আসামি আলতাফ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বুধবার রাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজানকে ওই জবানবন্দি দিয়েছে আসামি।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, ওমান থেকে নিহত নুরুন্নাহারের সঙ্গে রং নম্বরে ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের পর তিনি দেশে এসে আলতাফকে স্বাবলম্বী হতে বলেন। এ জন্য ব্যবসার পুঁজি হিসেবে তিন লাখ টাকা দেওয়ারও আশ্বাস দেন। সেই আশ্বাসে ওমানের ভিসা বাতিল করে গত ৮ জুন পরিবারের অগোচরে দেশে এসে একটি ভাড়া মেসে ওঠেন আলতাফ। পরে তিনি ১০ জুন নুরুন্নাহারের সঙ্গে দেখা করলে দু-এক দিনের মধ্যে টাকা দেবেন এবং তার বাড়ির নিচতলা ভাড়া নিতে বলেন নুরুন্নাহার। তবে টাকা না দিয়ে ঘোরাঘুরি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আলতাফ।
পরে বুধবার সকালে নুরুন্নাহারকে ভয় দেখানোর জন্য বাজার থেকে ছুরি কিনে তার বাসায় যায় আলতাফ। টাকার জন্য কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আলতাফকে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখালে সে ছুরি দিয়ে নুরুন্নাহারকে আঘাত করতে চায়। নুরুন্নাহার দৌড়ে মেয়ে প্রিয়ন্তীর কক্ষে যায়। সেখানেই ছুরিকাঘাত ও গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়। এ সময় মাকে বাঁচাতে মেয়ে এলে তাকেও আঘাত করা হয়। তবে মেয়েকে হত্যা করার কোনো পরিকল্পনা আলতাফের ছিল না বলে সে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বার্লিংটন মোড়ে মানিক মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে ফজলে আজিম কচির স্ত্রী নুরুন্নাহার (৪০) ও তাদের এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে ফাতিমা আজিম প্রিয়ন্তীর (১৭) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ আলতাফ হোসেনকে (২৮) রক্তাক্ত অবস্থায় আটক করে। সে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
মন্তব্য করুন