ঝিনাইদহ ব্যুরো
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৩০ একর জমির মালিকানা নিয়ে রশি টানাটানি

জমির মালিকানা দাবিতে ঝিনাইদহে সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি : কালবেলা
জমির মালিকানা দাবিতে ঝিনাইদহে সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি : কালবেলা

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না বাঁওড় পাড়ের ২৯ দশমিক ৪৫ একর জমির মালিকানা নিয়ে জেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসীর মধ্যে রশি টানাটানি শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন বাঁওড় পাড়ের বিল শ্রেণির জমি সরকারের এই দাবিতে অনড়। অন্যদিকে এসএ ও আরএস রেকর্ডে স্বত্ববান আছেন বলে জমির মালিকানা দাবি করছেন এলাকার ৩৫ জন কৃষক।

বুধবার (৯ এপ্রিল) এ দাবি নিয়ে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাগান্না বাঁওড় পাড়ের গ্রাম বেড়াদীর ৩৫ ব্যক্তি।

তারা সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, এসএ ও আরএস রেকর্ডে তাদের মালিকানা থাকলেও সরকার এই জমি ইজারা দিয়ে দখলের চেষ্টা করছে। বেলা ১১টায় ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জমির মালিকানার দাবিতে ৩৫ জনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহাদেব রায়।

অন্যদিকে জেলা রাজস্ব দপ্তর বলছে, সিএস রেকর্ডে নড়াইল জমিদার এস্টেটের নামে ১২৬ দশমিক ৪৫ একর জমি রেকর্ডভুক্ত ছিল। এসএ এবং আরএস রেকর্ডে ২৯ দশমিক ৪৫ একর জমি এলাকার কিছু মানুষ তাদের নামে রেকর্ড করিয়ে নেয়। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। মামলায় একাধিক আদালতে সরকারের পক্ষে রায় আসে। ফলে গোটা জমি এখন সরকারের। বিল শ্রেণির জমি ব্যক্তি মালিকানায় যাওয়ার সুযোগ নেই বলেও রাজস্ব দপ্তর জানায়।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, জমির পার্শ্ববর্তী সাগান্না বাঁওড়ের জলমহাল ইজারা দেওয়ার সময় সরকার ব্যক্তি মালিকানাধীন বেড়াদী গ্রামের জমিও অন্তর্ভুক্ত করছে, যা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। এরই মধ্যে সদর এসিল্যান্ড অফিস ওই জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।

জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না বাওড়ের (বেড়াদী মৌজাভুক্ত) মোট জমির পরিমাণ ১২৬ দশমিক ৪৫ একর। এই জমি নড়াইল জমিদার এস্টেটের মালিকানাধীন ছিল। পরে জমিদারি বিলুপ্ত হলে ১৬৭ নম্বর দাগভুক্ত ওই সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে চলে যায়। তবে একই দাগভুক্ত মোট জমির মধ্যে ২৯ দশমিক ৪৫ একর জমি সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের বেড়াদী গ্রামের কিছু ব্যক্তির নামে রেকর্ড হয়ে যায়। এসএ ও আরএস রেকর্ডমূলে বেড়াদী গ্রামের লোকজন ওই জমি ভোগদখল করছেন।

কিন্তু একই দাগে থাকা বিল শ্রেণির জমির কিছু অংশের শ্রেণি পরিবর্তন করে ব্যক্তির নামে রেকর্ডের ঘটনাটি জেলা প্রশাসনের নজরে এলে তারা মামলা করেন। মামলার রায়ে মোট ১২৬ দশমিক ৪৫ একর জমির মালিকানা সরকারের বলে ঘোষিত হয়। রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে আপিলও করেন বেড়াদী গ্রামের কয়েকজন কৃষক।

এদিকে গত সোমবার বাঁওড় পাড়ের শতাধিক মৎস্যজীবী অবৈধ জমি দখলের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দেন।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বকুল চন্দ্র কবিরাজ কালবেলাকে জানান, এলাকার মৎস্যজীবীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাস পেলেন বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীরা

ভাইবোনদের সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে

সিকদার গ্রুপের ২০৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ 

যে কারণে কনসার্ট থেকে বাদ ন্যান্সি

নারায়ণগঞ্জ / আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদের আড়াই কোটি টাকা অনুদান প্রদান

নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারই সম্ভব নয় : রহমাতুল্লাহ

ভারতের একাধিক চেকপোস্ট গুঁড়িয়ে দিল পাকিস্তানের সেনারা

ইরান দূতাবাসের শোক বইয়ে জামায়াত সেক্রেটারির স্বাক্ষর

ভর্তি পরীক্ষায় পাস করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করার সুপারিশ

১০

নির্বাচনে জোট গঠন নিয়ে যা জানালেন নাহিদ ইসলাম

১১

মোহাম্মদপুর-বছিলা এলাকায় যানজট নিরসনে ডিএমপির আট নির্দেশনা

১২

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১৩

বিচার চলাকালীন আ.লীগের নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে : নাহিদ ইসলাম

১৪

‘সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই’

১৫

স্বৈরাচারের দোসরদের বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ 

১৬

‘সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিন’ ড. ইউনূসকে মির্জা ফখরুল

১৭

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় / শিক্ষকদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, বদলে গেল উত্তরপত্র মূল্যায়ন পদ্ধতি

১৮

শুরু হয়েছে ‘মুক্ত সুরের ছন্দ’

১৯

কোকা কোলা বর্জন শুরু করেছে ইউরোপের এক দেশ

২০
X