ঝিনাইদহের মহেশপুরে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত বাংলাদেশি নাসির উদ্দিন মারা গেছেন। গুলিবিদ্ধের ১৩ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (৩০ মে) সকালে মারা যান তিনি।
নিহত নাসির উদ্দিন শ্যামকুড় পশ্চিমপাড়ার লতাফর হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, গত ১৭ মে রাতে শ্যামকুড় সীমান্ত দিয়ে নাসির উদ্দিনসহ ৫-৭ জনের একটি দল অবৈধভাবে ভারতে গরু আনতে যায়। এ সময় বাংলাদেশের শ্যামকুড় সীমান্তের ওপারের ভারতের পাখিউড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে নাসির উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত হয়ে নাসির উদ্দিন পালিয়ে আসলে পরিবারের সদস্যরা গোপনে রাজশাহীতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে ১৩ দিন চিকিৎসার পর শুক্রবার মারা যান তিনি।
নাসিরের সঙ্গে থাকা অপর দুজন পদ্মপুকুর গ্রামের রিপন ও অনন্তপুর গ্রামের সোহাগও ওই গুলিতে আহত হন। তবে তারা গোপনে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
শ্যামকুড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, নাসিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা প্রকাশ্যে বলেননি। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি আড়াল করে রাখা হচ্ছে।
নিহতের প্রতিবেশী ও শ্যামকুড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহানুর রহমান বলেন, ভাতিজা মারা গেছে ঠিক আছে, কিন্তু কীভাবে মারা গেছে সেটা আমাদের স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দাফন করা হয়।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম জানান, অবৈধভাবে ভারতে গেলে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে একই সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে আরও দুই বাংলাদেশি নিহত হন। ১১ এপ্রিল বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ওয়াসিম ও ২৭ এপ্রিল গোপালপুর গ্রামের ওবাইদুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। দেড় মাস পার হলেও তাদের মরদেহ এখনও দেশে ফেরত আসেনি।
বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, ওই দুজনের মরদেহ বিএসএফ ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে, ফলে কূটনৈতিক জটিলতার কারণে মরদেহ ফেরতের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন