

ঝিনাইদহ-৪ আসনে বিএনপির জোটের প্রার্থী গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিএনপি। একইসঙ্গে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিলও করে দলের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মুর্শিদা জামান বেল্টুর সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
মিছিল দুটি শহরের মেন বাসস্ট্যান্ডে এসে এক সমাবেশে মিলিত হয়। সে সময় দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী রাশেদ খাঁনকে বহিরাগত আখ্যা দিয়ে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। সেইসঙ্গে আগামী ২৮ তারিখের মধ্যে বিএনপির কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আসনটিতে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী রাশেদ খাঁন এই সংসদীয় আসনের বাসিন্দা না। তিনি ঝিনাইদহ-২ আসনে গত ৪/৫ দিন আগেও গণসংযোগ করেছেন। এখানে টাকার বিনিময়ে তাকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন ব্যক্তিকে তারা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছেন নেতাকর্মীরা।
কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস রহমান মিঠু বলেন, বিগত ১৭ বছরে আমরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনজন নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রেখেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে বহিরাগত একজনকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে আমরা তিনজন মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু টাকার বিনিময়ে বিএনপির কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে বহিরাগত ব্যক্তিকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান দুই দিন আগে দেশে এলে হয়তো এমন ঘটনা ঘটত না। আমি টাকার কাছে হেরে গিয়েছি। আগামী দিনে আমার নেতাকর্মীরা যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটা মাথা পেতে নেব।
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী মুর্শিদা জামান বেল্টু বলেন, আমরা কালীগঞ্জের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িত। আমার স্বামী এখানকার ৪ বারের সংসদ সদস্য ছিলেন। আমরা কোনো বহিরাগত ব্যক্তিকে চাই না। দ্রুতই বিএনপির কাউকে মনোনয়ন দিতে হবে। কালীগঞ্জের মাটি ধানের শীষের ঘাঁটি। চক্রান্ত করে এই ধানের শীষকে হারিয়ে ফেলা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন