উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে তিস্তা পাড়ের মানুষজন বড় ধরনের বন্যার আশংকা করছে এবং যে কোনো সময় তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে।
শুক্রবার (২০ জুন) বিকেল ৩টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার)। এতে করে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২টায় পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার।
জানা গেছে, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা কয়েক দিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে তিস্তার চরাঞ্চলের নিম্নঞ্চলের বিভিন্ন ধরনের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে আমন ধানের বীজতলার চারা ধানগুলো তলিয়ে গেছে। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন। এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮-১০টি চর এলাকায় পানি উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউল হক জিয়া বলেন, হঠাৎ করে বাড়ছে তিস্তার পানি। আমার ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকায় পানি ঢুকে আমন ধানের বীজতলা ডুবে যাচ্ছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, বিকেল ৩টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে আছে, তবুও আমরা সতর্ক আছি।
মন্তব্য করুন