জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশের ৫০৭টি উপজেলা ও ১২টি সিটি করপোরেশনকে টপকে দেশের শীর্ষস্থান অর্জন করেছে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা। ফলে টানা তিন মাস (মে, জুন ও জুলাই) শীর্ষে থাকা দুমকির ইউএনও আবুজর মো. ইজাজুল হকের সাফল্যের পালকে যুক্ত হয়েছে বর্ষসেরার মুকুটও।
রোববার (১৭ আগস্ট) জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো. ইজাজুল হকের হাতে বর্ষসেরার সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে দুমকি উপজেলার অর্জন ১১৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিনাজপুরের বিরল উপজেলা, যার সমন্বিত অর্জন ১১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা, যার অর্জন ১১৫ দশমিক ১১ শতাংশ। এছাড়াও নাটোর জেলাকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে সেরা জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, এটা আমার একার নয়, পুরো দুমকিবাসীর সাফল্য। জেলা প্রশাসক ও ডিডিএলজিকে অসংখ্য ধন্যবাদ; তাদের নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণায় এটা সম্ভব হয়েছে। আমি টিম লিডার হিসেবে নিয়মিত তদারকি করেছি। গ্রাম পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, এটা অবশ্যই কৃতিত্বপূর্ণ। আমি দুমকির উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ধন্যবাদ জানাই। জনপ্রতিনিধি, গ্রাম পুলিশ, পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তাদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই। তাদের সমন্বিত প্রয়াসের ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে। দুমকিবাসীকেও আমার অভিনন্দন।
বরিশাল অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আহসান হাবীব বলেন, দুমকির ইউএনও ইজাজুলকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি গ্রাম পুলিশ সদস্যদের নিয়ে মিটিং করেন নিয়মিত। চেয়ারম্যান, সচিব দিয়ে মনিটরিং কার্যক্রম নিশ্চিত করেছেন। রুট লেভেলের সবাইকে জবাবদিহির আওতায় এনেছেন। সেজন্যই এই সফলতা। এটাকে মডেল হিসেবে বিবেচনা করলে অন্যরাও সফল হবে।
উল্লেখ্য, দুমকি উপজেলা এর আগে আরও কয়েকটি জাতীয় স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
মন্তব্য করুন