গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের মাধ্যমে পিকেএসএফের অর্থায়নে রংপুর তারাগঞ্জের ২০ জন নারী পেকিন হাঁস পালন করে সফলতা অর্জন করেছে। হাঁস পালনে গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র হতদরিদ্র ক্ষুদ্র খামারি সদস্যকে পঞ্চাশটি করে পেকিন হাঁস প্রদানসহ স্বল্প খরচে চিকিৎসাকালীন ওষুধ ও বিনামূল্যে ৫০ কেজি করে পোল্ট্রিফিড প্রদান করেন।
এতে করে দরিদ্র খামারি হাঁস পালনে সফলতা ও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। বিনামূল্যে হাঁসের বাচ্চা ও খাদ্য পেয়ে খুশি সুবিধাভোগী পরিবারগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সার্বিক সহায়তায় তারাগঞ্জের ১২৫টি দরিদ্র পরিবারকে ‘সমন্বিত কৃষি ইউনিট’ থেকে প্রায় ১৫ ধরনের আর্থিক স্বাবলম্বীকরণে খামারি সেবা প্রদান করে আসছে।
পেকিন হাঁস পালনে সফলতার গল্পে দিলপি রানী বলেন, বিশ্বের জনপ্রিয় ব্রয়লার টাইপ আমেরিকান জাতের পেকিন হাঁস ৮০-৯০ দিনে মধ্যে ২.৫-৩ কেজি পরিমাণ ওজন হয়। এ হাঁসের মাংস অধিক সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন। রোগ কম হওয়ায় বাচ্চা পালনে মৃত্যুর হার কম। পেকিন হাঁস পালনের জন্য ছোট আকারে খামার তৈরিতে আর্থিকভাবেও সহযোগিতা করা হয় বলে তিনি জানান। তাদের এ সফলতা ধরে রাখতে লাভ্যাংশসহ হাঁস পালনে খামার বড় করার চেষ্টা করছে অনেকেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফরহাদ নোমান বলেন, গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট সদস্যগণের দলীয়ভাবে প্রশিক্ষণ আয়োজন করলে আমাদের প্রাণিসম্পদের ডাক্তাররা গিয়ে গবাদি পশুপালনে সহায়ক পদ্ধতি ও প্রাথমিক চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয় পরামর্শ দেই। আমরা চাই দরিদ্র পরিবারগুলো আর্থিকভাবে মুক্তি লাভ করুক।
মন্তব্য করুন