পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ইস্রাফিল হাওলাদার জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন। চাঁদাবাজি, মাদকসহ একাধিক অনিয়মে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে নাজিরপুর দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক প্রতিনিধি সমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন তিনি। এ সময় বিএনপি ও জাতীয় পার্টির আরও ৩০ জন দলটির সহযোগী সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইস্রাফিল হাওলাদার বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। চলতি বছরের ৯ মে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, জামায়াতের এক কর্মীর দোকানে খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের ছবি টানিয়ে তা ‘দলীয় কার্যালয়’ বানানো এবং এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকায়েএ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে জামায়াতে গ্রহণ করায় জনগণের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে জামায়াতের নৈতিকতা ও রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে।”
এ বিষয়ে নাজিরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. রিয়াজ ফরাজী কালবেলাকে বলেন, মো. ইস্রাফিল হাওলাদার সেখমাটিয়া ইউনিয়নের জামায়াতের এক কর্মীর দোকানঘর দখল করার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টির তদন্তে সত্যতা প্রমাণ পাওয়ায় তাকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
অন্যদিকে এ বিষয়ে ইস্রাফিল হাওলাদার বলেছেন, ‘আমি ইসলামের পথে চলতে চাই, তাই জামায়াতে যোগ দিয়েছি। বিএনপি ইসলামী আদর্শে চলে না, সে কারণেই দল বদলেছি।’
জেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ইস্রাফিল হাওলাদার যে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সেটি আমাদের জানা ছিল না। তিনি আমাদের দলীয় কোনো পদে নেই। তিনি আমাদের সংগঠনকে ভালোবেসে সমর্থক হিসেবে যোগদান করেছেন। তিনি কোনো কর্মীও নন। তবে তার ব্যাপারে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি তিনি অভিযুক্ত হয়ে থাকেন, তার ব্যাপারে দলীয় নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন