

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৮ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত এ আদেশ দেন।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের পিপি বজলুর রশিদ কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন— চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মিলন, রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উদয় শংকর বর্মণ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বাচ্চু মিয়া, রমনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গওছুল আজম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য হাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক নজরুল ইসলাম চান চৌধুরী, জাহিদ আনোয়ার পলাশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট চিলমারী থানা পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় উপরোক্ত ৮ আসামি উচ্চ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। বুধবার তারা জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শাহীনুর ইসলাম ও নাদিরা সুলতানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পিপি বজলুর রশিদ।
মন্তব্য করুন