

ফরিদপুরে একটি গুড়ের কারখানায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ছয় হাজার কেজি ভেজাল গুড় জব্দের পর ধ্বংস করা হয়েছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এ অভিযান চালান। এ সময় ব্যবহার্য কেমিক্যাল জব্দ ও জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত উপজেলার শিবপুরস্থ ছোটো বটতলা এলাকার প্রিয়নাথ শীলের ছেলে স্বপন কুমার শীলের মালিকানাধীন কারখানায় অভিযান চলে।
অভিযানের বিষয়ে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. আজমল ফুয়াদ জানান, ওই কারখানায় অত্যন্ত নোংরা, স্যাঁতসেঁতে, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন উপায়ে, নির্ধারিত স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সংরক্ষণ না করেই তৈরি হচ্ছে গুড়। ভারত থেকে আমদানিকৃত নিম্নমানের টিনজাত চিটাগুড়ের (যা গো-খাদ্যে ব্যবহৃত হয়) সঙ্গে নিষিদ্ধ হাইড্রোজ, ফিটকিরি, নন ফুড গ্রেড, ক্ষতিকর রং ও ফ্লেভার, পচা মিষ্টি, মিষ্টির নষ্ট গাদ, ময়দা, সোডা, চিনি ব্যবহার করে খেজুর ও আখের গুড় তৈরি করা হয়। এছাড়াও কারখানায় বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল (D–9700 : রেজিন/সলভেন্ট/আঠা জাতীয়, এবং Polyurethane : জুতার সোল তৈরির কেমিক্যাল) পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, ওই কারখানায় রাতের অন্ধকারে ভেজাল গুড় উৎপাদন করে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলসহ ঢাকা ও রাজশাহীর বাজারে সরবরাহ করে থাকে। কারখানায় মালিকপক্ষের কেউ উপস্থিত না থাকায় আনুমানিক সাড়ে ৬ হাজার কেজি ভেজাল গুড় এবং শিল্পে ব্যবহার্য কেমিক্যাল জব্দ ও জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া কারখানাটি সিলগালা করার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ অভিযানে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. আজমুল ফুয়াদ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক, জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক এবং বাংলাদেশ আনসারের একটি চৌকস দল উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন